ঝালকাঠির রাজাপুরে “আইন কি গরিবের জন্য বরাদ্দ নাই” প্রশ্ন তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাজাকারের বংশধর কর্তৃক নির্যাতনের স্বীকার ও সর্বস্ব হারানো এক অসহায় গৃহবধূ।
সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মিলনকেন্দ্র কনভেনশন সেন্টারে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি এলাকার মোঃ শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রুমিছা আক্তার।
রুমিছা আক্তার তার লিখিত বক্তব্যে জানায়, রাজাপুরের সাতুরিয়া ইউনিয়নের কুখ্যাত রাজাকার পরিবারের সন্তান উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বিউটিশিয়ান রিমু রাজাপুর সদর ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইয়াসমিন মুন্নির সহায়তায় ৪ নভেম্বর সকালে ভাড়াকরা এক থেকে দেরশত নারী পুরুষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার বাড়িতে অবৈধ প্রবেশ করে তাদের বেধে রেখে ২০ বছরের বসবাস করা বসতঘর ভাংচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় এলাকাবাসী ভয়ে সামনে আসতে না পারলেও ওই ভয়ংকর দৃশ্য মোবাইলের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধমে ছড়িয়ে দেয়।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অসহায় মানুষের উপরে পাক বাহিনীর করা বর্বরোচিত হামলাকে মনে করিয়ে দেয়ার মত ঘটনা ঘটার পরেও থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে না চাইলেও পরে একটি চুরি মামলা রুজু করে যাতে বিভিন্ন মহল থেকে দেয়া তাদের ব্যাক্তিগত শত্রুদেরকেও এই মামলায় আসামি করা হয়।
রুমিছা আরো জানায়, আমরা মূর্খ মানুষ, লেখাপড়া জানিনা। সেই সুযোগে পুলিশ একটা চুরি মামলার দরখাস্ত লিখে তাতে কৌশলে আমাদের থেকে স্বাক্ষর নেয়। পরে আমরা মামলার কাগজ অন্য লোকদের দেখালে তারা মামলাটি চুরি মামলা হয়েছে বলে আমাদের জানায়।
যেখানে দিনের বেলায় পরিবারের সবাইকে বেধে রেখে ভাংচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে গেলো সেখানে কোন অশুভ শক্তির ইশারায় পুলিশ ভাংচুর ও লুটের ঘটনাকে চুরির মামলা হিসেবে রেকর্ড করল তা কারোর জানা নেই। তাইতো রুমিছার জিজ্ঞাসা আইন কি শুধু টাকা ওয়ালাদের জন্য? গরীবরা কি সঠিক বিচার পাবেনা? কেন গরীবরা আইনের সহায়তা থেকে বঞ্চিত?
রুমিছা আক্তার আরো জানায়, বসতঘর হাড়িয়ে খোলা আকাশের নিচেই পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। ঠান্ডায় খোলা আকাশের নিয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে কিন্তু ঘর ঠিক করার আগেই রাজাকারের নাতনী ও রাজাকারের মেয়ে চন্দ্রিমা রিমু ৭ নভেম্বর আমার জমিতে গিয়ে ১৪৫ জারি করে আমাদের খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসে।
চন্দ্রিমা রিমু তাদের মাথা গোজার ঠাই নিশ্চিহ্ন করেছে। এখন রুমিছাদের দুনিয়া থেকে চিরতরে শেষ করার পায়তারা করছে। তারা এই রাজাকার পরিবারের হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কমনা করছে।