আজ ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাভারে জমি দখল করতে গুলিবর্ষণ, জনগণের হাতে গণধোলাই

বিশেষ প্রতিনিধি সাভার (ঢাকা)

সাভারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গুলিবর্ষণ করে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ করেছে, এক জমি দখলের একাধিক মামলার আসামি । এ সময় অস্ত্রধারি ঐ ব্যক্তি জনগণের হাতে গণপিটুনির শিকার হন। গুলিবিদ্ধ দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- ওই এলাকার কুদ্দুস ও তার প্রতিবেশী হুমায়ূন।

এ ঘটনায় গুলিবর্ষণকারী এম এ মতিনকে স্থানীয়রা গণধোলাই দিলে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেছে। মতিন আশুলিয়ার গাজিরচটের ঊষাপোল্ট্রি মোড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি জমি দখলের একাধিক মামলার আসামি।

স্থানীয়দের গণধোলাইয়ের শিকার মতিন পাটোয়ারি (৬২), তার স্ত্রী মরিয়ম ইসলাম (৫৭) তার ছেলে ফারহানকে (২৭) গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য হোসেন আলী মাষ্টার বলেন, কুদ্দুস ও হুমায়ন কবিরদের সাথে মতিন পাটোয়ারির প্রায় ১০ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। গত ২৫ জানুয়ারি হুমায়ুন কবির আশুলিয়া থানায় সাধরণ ডায়েরি করেন। উভয় পক্ষ থানায় যাওয়া কথা থাকলেও মতিন পাটোয়ারি যায়নি। পরে হঠাৎ করে আজ সকালে জমি দখলের চেষ্টা করে মতিন পাটোয়ারি ও তার পরিবার। কুদ্দুস ও হুমায়নরা বাঁধা দিলে মতিন পাটোয়ারি ও তার ছেলে গুলি ছোড়ে। তাদের গুলিতে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা মতিন ও তার ছেলেকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করে। মতিন পাটোয়ারি খারাপ প্রকৃতির লোক। আশুলিয়া বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় ১০ বিঘা জমি নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। আজ এমএ মতিন তার স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে বিদেশি অস্ত্রসহ জমিতে প্রবেশ করে। এ সময় হুমায়ূন, কুদ্দুসসহ বেশ কয়েকজন বাধা দিলে মতিন ও তার ছেলে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এসময় কুদ্দুস ও হূমায়ুন দু’জনই গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা মতিনকে গণধোলাই দেয় এবং গুলিবিদ্ধদের হাসপাতালে পাঠায়।

সাভার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, দুপুরে হূমায়ুন নামের এক ব্যক্তি বাম হাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এসেছিলেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-মামুন কবির বলেন, দু’পক্ষই আহত হয়েছেন। আমরা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দিচ্ছি। এখনই কাউকে আটক বলা যাবে না। আমরা আগে চিকিৎসা দিয়ে তাদের সুস্থ করার চেষ্টা করছি। বিস্তারিত পরে জানাবো।

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap