আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঝালকাঠিতে শের-ই-বাংলা ফজলুল হকের জন্মদিন পালন, বংশধর নাখোশ

আবু সায়েম আকন, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ
অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও বাংলার বাঘ নামে খ্যাত শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৪৮তম জন্মদিন তার খোদ জন্ম স্থানেই দায়সারাভাবে পালন করা হয়েছে। ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশালের রাজাপুর থানার সাতুরিয়া গ্রামে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝাকঝমক ভাবে জন্মদিন পালিত হলেও তার জন্মস্থান রাজাপুরে চোখে পড়ার মত ছিলনা কোনো আয়োজন। স্রেফ দায়সারাভাবেই সাতুরিয়া শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক রিচার্স ইনিস্টিউট ও সাতুরিয়া ইঞ্জিনিয়ার একেএম রেজাউল করিম কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। মঙ্গলবার সকালে দায়সারাভাবে কলেজের একটি রুমে পালন করা হয়েছে জন্মদিন। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলনা শের-ই-বাংলার নানার বংশের কোন নিকটাত্মীয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শের-ই-বাংলার জন্মস্থান সাতুরিয়ার একাধিক ব্যক্তি বলেন, শের-ই-বাংলা আমাদের গর্ব। তার জন্ম আমাদের এলাকায় তাই আমরা ধন্য। সে আমাদের উপজেলাকে, আমাদের গ্রামকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করেছে। আজ সে জীবিত নেই কিন্তু তার নানার বংশের ও দাদার বংশের লোক এখনো জীবিত আছে। আজকে এমন একটা দিনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলো সেখানে তার আত্মীয় স্বজনরা কেউ নাই। তারা যদি শের-ই-বাংলাকে স্মরণ করতে এই আয়োজন করতো তাহলে তার রক্তের কাউকে এখানে দাওয়াত দিত। যেহেতু তাদের কাউকে এখানে দাওয়াত দেয়া হয়নি সেহেতু নিজেদের পরিচিতি বাড়াতে এবং নিজেদের স্বার্থের জন্যই এই আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজক কর্তৃপক্ষের সাতুরিয়া ইঞ্জিনয়ার একেএম রেজাউল করীম কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক সিকদার জানান, অনুষ্ঠানে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মাইনুল হায়দার নিপু, মহিদুল ইসলাম ও আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন। তারাই শের-ই-বাংলার আত্মীয়। এছাড়াও তার নাতি রাজু সাহেবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো সে আসেনি। তিনি আরো জানান, রাস্ট্রীয়ভাবে যেহেতু পালন করা হয় না। আমরা যেমন পারছি করেছি, আর কোথাও তো কেউ করেনি।
এ ব্যাপারে শের-ই-বাংলার বংশধর তানভীর রহমান বলেন, আমরা কর্মের তাগিদে সব সময় দেশে থাকিনা, তবে সুযোগ পেলেই এলাকায় যাই এলাকাবাসীর পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমার বাবা ওবায়েদ মিয়া শের-ই-বাংলার ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করতে অনেক অবদান রেখেছেন যা এখনো চলমান।
আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এলাকার একটি মহল শের-ই-বাংলার নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন কর্ম করে থাকে। তারা আমাদের কাউকে এই বিষয়ে কিছুই অবগত করেনা। আজকের অনুষ্ঠান সম্পর্কেও কিছুই আমাদের জানায়নি। এগুলো আমাদের দুঃখ দেয়। এতে আমরা আস্তে আস্তে মানুষের পাশের থাকার আগ্রহ হাড়িয়ে ফেলছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোক্তার হোসেন বলেন, শের-ই-বাংলার জন্মদিন উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনেই পালন করা উচিত কিন্তু কোনো বরাদ্দ না থাকায় উপজেলা প্রশাসন এর আগে কখনো পালন করেনি তাই এবারেও করা হয়নি। তবে যারা করেছে তাদের আরো বড় আয়োজন করা উচিত ছিলো।

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap