আজ ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা কিশোরগঞ্জ

আসাদুজ্জামান খাইরুল:

বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই পর্যটন সম্পদের সম্ভারে ভরা, একটি সবুজ শ্যামল রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে পরিচয় লাভ করেছে।নিত্য নতুন পর্যটন খনির সন্ধান মিলছে প্রকৃতির সৌন্দর্য লীলাভূমির এই দেশটিতে।

বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত বা তালিকাভুক্ত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত সহ ছোট বড় অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র থাকলেও, সময়ের ব্যবধানে নতুন নতুন পযটন কেন্দ্র আবিষ্কার করছেন সাধারণ জনগণ ও ভ্রমণপিয়াসু পর্যটকরা।

এরকমই একটি পর্যটন খনির আবিষ্কার বা সন্ধান মিলেছে হাওরাঞ্চল কিশোরগঞ্জ জেলায়, এরকমটাই ধারণা করছেন পর্যটন বিশেষজ্ঞসহ পর্যটকরা।

হাওরাঞ্চল হওয়ায় দীর্ঘকাল এই অঞ্চলটি ছিলো অবহেলিত, যেখানে বছরের প্রায় অর্ধেক সময় জুড়ে পুরো এলাকাই থাকতো পানির নিচে, চলাচলের ছিলোনা কোনো সুব্যাবস্থা। হাওরে মাছ ধরে জীবন অতিবাহিত করাই ছিলো এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান জীবিকা।

বিয়ে-শাদী থেকে শুরু করে সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপন ও চলাফেরায় অপেক্ষা করতে হতো পানি কমে যাওয়া বা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।

এই অঞ্চলটির ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প শুরু হয় যখন থেকে বাংলাদেশ সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে শুরু করে মেগা প্রকল্পের মহা কর্মযজ্ঞ।

শুরু হলো বিশাল হাওরের মাঝ দিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ। এই মেগা প্রকল্পের মহা কর্মযজ্ঞটি ২০১৭ইং শুরু হয়ে ২০২০ইং সালে শেষ হয়।

প্রকল্প বাস্তবায়নের পর থেকে, বছরের বেশিরভাগ সময়ে পানির নিচে থাকা এই এলাকাগুলোর মানুষের, বিয়ে-শাধির মত সামাজিক অন্যান্য অনুষ্ঠান ও চলাচলে থাকতে হয় না, পানি কমে যাওয়া বা নির্দিষ্ট সময়ের অপেক্ষায়। এখন যখন-তখন অনায়াসেই তিন উপজেলার মানুষ চলাচল ও সকল আনন্দ উদযাপন করেন বিনা বাধায় ও চিন্তামুক্ত ভাবে।

দেখতে দেখতে দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে এই রাস্তাগুলো, দুপাশে পানি মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে মাইলের পর মাইল রাস্তা। পুরো কিশোরগঞ্জ জেলার এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় পৌঁছে গিয়েছে এই রাস্তাগুলো। সংযুক্ত করেছে ইটনা, মিঠামইন, অষ্ট্রগ্রাম এই তিনটি উপজেলাকে। এছাড়াও নিকলী উপজেলার নিকলী বাঁধ একই মাত্রা যোগ করেছে এই হাওর অঞ্চলে।

হাওরের মাঝে মাঝে একটি রাস্তা অন্য রাস্তাকে ক্রস করে সৃষ্টি করেছে একটি অসাধারণ দৃশ্য পট। তৈরি হয়েছে এক একটি বিশাল দৃষ্টি নন্দন মোড় বা বাঁক। সওজ সড়ক বিভাগের দিকনির্দেশক সাইনবোর্ড ও রাস্তার দু’পাশের সৌন্দর্য বর্ধক পিলার সহ নানান কারুকাজে আরো আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে এই মোর বা বাঁক গুলো।

চমৎকার প্রাকৃতিক বাতাস, ছোট ছোট অসংখ্য নৌকার ভেসে ভেসে মাছ ধরার দৃশ্য, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা হাওরের মাঝে সতেজ বড় বড় দু একটি গাছ, পানির মাঝখানে দু-তিনটি ঘর নিয়ে একটি করে গ্রাম, ঝাঁকে ঝাঁকে পাতিহাস, সাদা বক পাখির মাছ শিকারের অসাধারণ দৃশ্য। এ যেন কল্পনার ছবির মত ফুটে উঠেছে স্থানগুলো। আর এই দৃশ্যকে স্মৃতিময় করে তুলতে  ক্যামেরাবন্দি করে নিচ্ছেন ঘুরতে আসো পর্যটকরা

এভাবেই তথ্য প্রযুক্তির এই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, এতটাই ধ্রুত এই নয়নাভিরাম মনমুগ্ধকর সৌন্দর্য সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে যে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন শতশত পর্যটক নিজ উদ্যোগে চলে আসছে এই সৌন্দর্যকে দেখতে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক সেনা কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন আমরা কিশোরগঞ্জের মানুষ একসময় অনেক অবহেলিত ছিলাম, আমাদের কিশোরগঞ্জের গৌরব ও কৃতিসন্তান মহামান্য রাষ্ট্রপতি এডভোকেট মোঃ আব্দুল হামিদের অবদানে আমাদের কিশোরগঞ্জ জেলা উন্নয়নের এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। আমাদের জেলার এই সুন্দর্যকে দেখতে এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ আসছে, এটি আমাদের জন্য গৌরবের বিষয়।

একটা সময় ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার কারণে আমাদের জীবন যাত্রার মান অনেক নিম্নমানের ছিল। দেশনেত্রী শেখ হাসিনা ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির বদৌলতে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আমাদের কিশোরগঞ্জেরও উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে। কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় নতুন করে একটি ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করা হয়েছে, যা আমাদের উন্নয়নের মত্রাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে বলে আমি মনে করি। আমরা কিশোরগঞ্জ বাসী দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে কৃতজ্ঞ।

 

এছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলায় মিশে আছে ইতিহাসের অনেক ঐতিহ্য, জঙ্গলবাড়ি দুর্গ। যা ঈশা খাঁর স্মৃতিবাহী একটি স্থাপনা। মসনদে-আলা-বীর ঈশা খাঁ ছিলেন বাংলার বার ভূঁইয়াদের প্রধান। ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি প্রকৃতপক্ষে ঈশা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী ছিল। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর কর্তৃক তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলাধীন কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামে নরসুন্দা নদীর তীরে দুর্গটির অবস্থান।

দুর্গটিতে বর্তমানে উত্তর-দক্ষিণে লম্বা ইটের পাঁচিল দিয়ে ভাগ করা দুটি চত্বর রয়েছে। স্থানীয় ভাবে পাঁচিলটি পরিচিত ‘প্রাসাদ প্রাচীর’ নামে। দক্ষিণ দিকে একটি তোরণ আছে। তোরণটির সামনের দিকে ‘করাচি’ নামে একটি পূর্বমূখী একতলা ভবন রয়েছে। তোরণের পিছনে ‘অন্দর মহল’ রয়েছে। পুরো ইটের দেওয়াল চুনকামসহ লেপন দিয়ে ঢাকা।

দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তর দিকে গভীর পরিখা খনন করা আছে। পরিখাটি পূর্বদিকে নরসুন্দা নদীর সাথে সংযুক্ত । বাড়ির সামনে ঈশা খাঁর সময়ের খনন করা একটি দীঘি আছে।পাশেই আছে একটি তিনগম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। ধারণা করা হয়, ঈশা খাঁই মসজিদটি নির্মাণ করেছেন। মসজিদটিতে রয়েছে মুঘল স্থাপত্যশৈলীর ছাপ। মসজিদের পাশেই ঈশা খাঁর বংশধরদের বাঁধানো কবর রয়েছে। যা পর্যটকদের ভালো লাগার নতুন মাত্রা যোগ করে। ২০০৫ সালের সংস্কার করে স্থানীয় প্রশাসন ‘ঈশা খাঁ স্মৃতি জাদুঘর ও পাঠাগার’ স্থাপন করে। সেখানে ঈশা খাঁর বিভিন্ন ছবি, তার বংশধরদের তালিকা এবং বিভিন্ন নিদর্শন রয়েছে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ, যেখানে লক্ষাধিক মুসলিম দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে সমবেত হয়ে বৎসরের দুই ঈদের সালাত আদায় করে।

কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে কুতুব শাহ মসজিদ। মসজিদটিতে রয়েছে ৫টি গম্বুজ। মসজিদের কার্নিশ বক্রাকার, মসজিদের দেয়ালে রয়েছে বিভিন্ন করুকাজ।বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে সুলতানী আমলের সবচেয়ে প্রাচীন স্থাপনা হিসাবে এর সুখ্যাতি রয়েছে।

গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ি, জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয়ে গেছে অনেক আগেই তবু কালের সাক্ষী হয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলায় গোবিন্দপুর ইউনিয়নে অবস্থিত গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ি।

বাংলা সাহিত্যের প্রথম নারী কবি চন্দ্রাবতীর বাড়ি ও মন্দির, কবি চন্দ্রবতী তার পিতা ছিলেন জিদবংশী দাস, তিনি বাংলা ভাষায় প্রথম মহিলা কবি হিসাবে স্বীকৃত। কবি চন্দ্রাবতী মন্দির হিসেবে পরিচিত মন্দিরটি অষ্টভুজাকৃতির এবং এর উচ্চতা প্রায় ৩২ ফুট। মুলত মন্দির দুটি এর প্রতিষ্ঠাতা জমিদার নীলকন্ঠ রায়। ব্রিটিশ আমলের জরিপ সিএস (c.s) পর্চায় এই জায়গা এবং মন্দির দুটি নীলকন্ঠ রায়ের ছেলের নামে পাওয়া যায়। মন্দিরের নিচতলায় আছে একটি কক্ষ। কক্ষের ভেতরে ৭টি কুলুঙ্গি রয়েছে। বড় মন্দিরের পাশে রয়েছে আরেকটি ছোট মন্দির বা গম্বুজ। যার ভিতরে স্থাপন করা আছে একটি শিব মন্দির। আর দুই মন্দিরে বা গম্বুজের পাশে রয়েছে মহিলা কবির নামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মূলত এই বিদ্যালয়টির নামকরণের কারণেই এই মন্দির এবং বাড়িটি চন্দ্রাবতী মন্দির হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

মন্দিরের ঠিক পিছনেই রয়েছে একটি পুরনো বাড়ি। বাড়িটি মূলত জমিদার নীলকন্ঠ রায়ের বাড়ি। কিন্তু অনেকেই এটিকেও চন্দ্রাবতী বাড়ি হিসেবে জানেন।

নীলকন্ঠ রায়ের বাড়িতে বসবাস করা স্থানীয় নজরুল(৫০) বলেন  চন্দ্রাবতীর বাড়ি মূলত তালপাতা এবং বাশের পাল্লা দিয়ে তৈরি করা ছিল। যার বিবরণ চন্দ্রবতীর লিখিত কবিতায়ও পাওয়া যায়। চন্দ্রাবতী ছিলেন নিতান্তই এক গরীব ফ্যামিলির থেকে উঠে আসা একজন মহিলা কবি।

ঐতিহ্যবাহী পোড়া বাড়ী এগারো সিন্দু, কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে ২২ কি.মি দূরে অবস্থিত এই ঈশা খাঁর স্মৃতি বিজড়িত এই দূর্গের অবস্থান। ১১টি ছোট বড় খাল  বা নদী এই গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পরবর্তীতে এই জায়গা এগারসিন্দুর নামে পরিচিতি পায়।

এগারো সিন্দুতে আছে শাহ মাহমুদ মসজিদ ও বালাখানা , সবেদা সুবেদার শায়েস্তা খাঁর আমলে ১৬৬৪ খৃষ্টাব্দে এগারসিন্দুরের তৎকালীন প্রখ্যাত ব্যবসায়ী শাহ মাহমুদ তিন এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি নির্মাণ করে। এর চারদিকে বেষ্টনী প্রাচীর এবং এর প্রবেশ পথে একটি দোচালা পাকা ঘর আছে যার নাম বালাখানা এ মসজিদটির ভিতর ও বাহিরে সুলতানি আমলের চিত্রফলক দ্বারা অলংকৃত।

ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদ, কিশোরগঞ্জ জেলা শহর হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় আড়াইশ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ অবস্থিত। যেখানে তিন চার মাস পর পর দান বাক্স খুললে অলৌকিক ভাবে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যায় বলে ধারণা করে এখানকার স্থানীয়রা।

সত্যজিৎ রায়ের বাড়ি, কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলা থেকে মাত্র ৭ কি.মি দূরে মসুয়া গ্রামে অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়ি রয়েছে। রাষ্ট্রপতির বাড়ি সহ ছোট-বড় অনেক দর্শনীয় স্থান।

কিশোরগঞ্জের বারঘরিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের ছেলে মোহসিনুল কবির রনি বলেন, যদিও আমাদের এই দর্শনীয় স্থানগুলো পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। তবুও এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য স্থানীয় ভাবে যতটুকু সম্ভব সুব্যবস্থা করেছি। এখানে থাকর মত হোটেল মোটেলের সুব্যাবস্থা আছে।  উল্লেখযোগ্য মিঠামইনের ঘাগড়ায় অবস্থিত প্রেসিডেন্ট রিসোর্টে সার্ভিস সুবিধা অনুযায়ী ৮ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত রুম পাওয়া যায়। এছাড়াও লোকাল ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ইচ্ছামত রুম ভাড়া পাবেন। তন্মধ্যে স্টেশন রোডের হোটেল রিভারভিউ, হোটেল উজাভাটী,হোটেল ফিরোজ, বাজিতপুরের হোটেল সাহিনা, হোটেল নরসুন্দা, হোটেল গাংচিল, সহ আরও সস্তা অনেক হোটেল। নৌকায় খাওয়া দাওয়া সহ নৌকা ভ্রমন এর ব্যবস্থাও স্থানীয় ভাবে করা হয়েছে। যা এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের আনন্দকে দ্বিগুণ করবে বলে আমি মনে করি। আশা করি আমাদের এখানে যারা একবার ঘুরতে আসবে তারা বারবার আসতে চাইবেন।

 

পর্যটক হিসেবে ঘুরতে আসা বিশিষ্ট কবি, লেখক, গবেষক, মোহাম্মদ শামছুল হক বাবুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন কিশোরগঞ্জ একটি হাওর অঞ্চল হলেও, এর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এখন এই এলাকাটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রূপ নিয়েছে। আমি ঘুরতে এসে এত সুন্দর নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে সত্যিই বিমোহিত। তাই আমি সরকারের কাছে জোর আবেদন জানাচ্ছি কিশোরগঞ্জ জেলার এই অঞ্চলগুলো কে পর্যটন কেন্দ্রের আওতায় এনে, আরো উন্নয়ন সাধন করা হোক। এবং সরকারি ভাবে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ঘোষণা দেয়া হোক । এছাড়াও এখানে বহু গুণী মানুষের জন্ম হয়েছে। সাহিত্যের পুণ্যভূমি হিসেবে কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্য আমাদের ধরে রাখতে হবে।

 

কিশোরগঞ্জ জেলার এ সকল দর্শনীয় স্থানগুলো অঞ্চলটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে ধারণা করছে ঘুরতে আসা অন্যান্য পর্যটকরা।

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap