আজ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ইবিতে লেখাপড়া বন্ধ: খুলছে নতুন বিভাগ, নেপথ্যে চাকরি বাণিজ্যের অভিযোগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

করোনায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ইসলামী বিশ্বিবিদ্যালয় (ইবি)। ফলে বন্ধ রয়েছে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখাও। নিশ্চিত হয়নি শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসও। বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সরাসরি পরীক্ষা চললেও এ ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইবি। এই বন্ধের মাঝে হঠাৎই নতুন করে একটি বিভাগ ও একটি ইনস্টিটিউট খুলতে যাচ্ছে যাচ্ছে বলে।

অভিযোগ উঠেছে এ ক্ষেত্রে মানা হচ্ছেনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রাম ও নীতিমালা। শেষ তিন বছরে খোলা নতুন নয়টি বিভাগকে এখনো নিজস্ব শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করে দিতে না পারা স্বত্বেও আবারও নতুন বিভাগ খোলার চেষ্টার নেপথ্যে চাকরি বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছেন অনেকে।

 

জানা গেছে, এপ্লাইড কমিউনিকেশন ও মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম নামে একটি বিভাগ ও ইসস্টিটিউট অব ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স নামে একটি ইনস্টিটিউট খোলার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ^বিদ্যালয়। আজ শনিবার বিশ^বিদ্যালয়ের ১২০তম একাডেমিক কমিটির সভার আলোচ্যসূচির নয় নম্বরে এ বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

 

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রামে তিনটি ইনস্টিটিউটের কথা উল্লেখ থাকলেও ইসস্টিটিউট অব ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স নামে বা এ বিষয়ে কোন ইনস্টিটিউটের প্রস্তাবনা নেই। বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে এ নামে একটি বিভাগ খোলার প্রস্তাবনা রয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ম্যাস কমিউটিকেশন এন্ড জার্নালিজম নামে বিভাগ খোলার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে এপ্লাইড কমিউনিকেশন ও মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম নামে বিভাগ খোলা হচ্ছে।

 

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নতুন বিভাগ খোলা হলে সংশ্লিষ্ট অনুষদের মিটিংয়ে আলোচনার মাধ্যমে আসতে হবে। কিন্তু নতুন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট খোলার ক্ষেত্রে অনুষদে কোন আলোচনা হয়নি বলে জানা গেছে। ফলে করোনা মহামারীতে বিশ^বিদ্যালয় বন্ধ অবস্থায় হঠাৎ নতুন বিভাগ খোলার বিষয়ে আলোচনা নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

 

বিশ্বদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকরা মনে করছেন, আগামী ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়ে গেছে তাই এখন নতুন বিভাগ খোলার আলোচনা হতে পারেনা। এ ছাড়া করোনায় বিশ^বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষক সভায় উপস্থি থাকতে পারবেন না। এমন অবস্থায় নতুন বিভাগ খোলার বিষয়ে আলোচনা অযৌক্তিক এবং এর পিছনে অন্য হীন কোন উদ্দেশ্য আছে।

নাম প্রকাশ না করে এক শিক্ষক বলেন, ‘অনুষদে আলোচনা না করে এবং অর্গানোগ্রাম লঙ্ঘন করে বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন বিভাগ খোলার বিষয়ে আলোচনা করা আইনসিদ্ধ নয়। এটি উপাচার্যের গায়ের জোরে কাজ করার মতো। এর পিছনে চাকরি বাণিজ্যের মতো হীন উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মনে হচ্ছে।’

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap