নিউজ ডেস্কঃ
করোনাকালে ভয়াবহ আর্থিক সঙ্কটে পড়া, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এমন ৫০ লাখ পরিবারের হাতে আড়াই হাজার টাকা করে পৌঁছানোর কর্মসূচি উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও ১৫ লাখ পরিবারের ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও ১৫ লাখ পরিবারের মাঝে টাকাটা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
সরকারের দেওয়া নগদ আড়াই হাজার টাকার তালিকায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বচ্ছল পরিবারের নাম। পাওয়া গেছে একই পরিবারের দুটি নম্বরও। এসব কারণে ঠিক সময়ে টাকা পৌঁছানো যায়নি।
৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়ার জন্য যে টাকা প্রয়োজন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের খরচসহ সেই টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে গত ১১ মে।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এজন্য হিসেব করে ১ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। ১৪ মে এই অর্থ সহায়তা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জনপ্রতিনিধিদের ওপর ‘অবিশ্বাসে’র কারণেই হয়তো, এই তালিকা করা হয়েছিল ডিসি ও ইউএনওদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে। কিন্তু তারপরও সেই একই সমস্যা, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত বা গরিব পরিবারের নাম তালিকায় ওঠেনি অনেক দেশের অনেক স্থানেই। কয়েকবার হালনাগাদ করা হলেও তালিকায় অসঙ্গতি থেকেই গেছে। বাধ্য হয়ে অর্থ বিভাগ যাচাই-বাছাই শেষে তালিকা থেকে ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৮০১ জনকে বাদ দিয়েছে।