আজ ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪র্থ স্ত্রীসহ ৪ স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় কুমারখালীর পাঁচ বিয়ে করা প্রেমিক রবিউল আটক

রফিকুল ইসলাম
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের বহুল আলোচিত পাঁচ স্ত্রীর মধ্যে ৪র্থ স্ত্রীসহ চার স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী রবিউল আলমকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিউল আলম শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের মৃত শাজাহানের ছেলে বলে জানা গেছে।
প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৫ বিয়ে করে হিরো বনে যাওয়া প্রেমিক এর চতুর্থ স্ত্রী মৌসুমী আক্তার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় স্বামী রবিউল আলম আটক হয়েছে। নিহতদের পরিবার সহ জনমনে প্রশ্ন আত্মহত্যা নাকি হত্যা? বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কাজ করছে কুমারখালী থানা পুলিশ।
প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৫ টা বিয়ে করার পর ইতিমধ্যে তিনজন স্ত্রী হত্যা বা আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। বুধবার সন্ধ্যায় ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে চতুর্থ স্ত্রী মারা গেছে। মেয়ের পরিবারের দাবী তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী রবিউল আলম পলাতক ছিল ।
কয়া ইউনিয়নের বেড়কালোয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, মৃত মৌসুমি তার পালক কন্যা। তিনি সম্পর্কে মৌসুমির মামা। ছোটকাল থেকে তিনি মৌসুমিকে লালন পালন করে বড় করেন। মৌসুমী অনার্স পড়াকালীন রবিউল আলমের সাথে দুই বছর আগে প্রেমজ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং রাতে পালিয়ে এসে তাকে বিয়ে করে। সে সময় রবিউলের স্ত্রী থাকা অবস্থায় চতুর্থ স্ত্রী হিসাবে মৌসুমিকে বিয়ে করে।
তিনি বলেন এর আগে আরো তিনটি স্ত্রী ছিলো রবিউলের। তাদের মধ্যে কল্যাণপুরের সাকেরের মেয়ে জোছনাকে বিয়ে করার পর নির্যাতন করার কারনে জোছনা ১ টি ছেলে সন্তান রেখে আত্মহত্যা করে। তারপর মনিরাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করার পর মনিরা সন্তান সম্ভবা অবস্থায় আত্মহত্যা করে। এবং মৌসুমী ৪ মাসের ছেলে সন্তান থাকাকালীন রবিউল আরেকটি মেয়েকে প্রেমে জড়িয়ে বিয়ে করে কুমারখালী শহরে বাসা ভাড়া করে থাকে। তিনি বলেন সুইসাইড নোট তার ভাতিজিকে দিয়ে জোরপূর্বক লিখিয়ে রবিউল তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে রবিউল আলমের বড় ভাই সাব ইন্সপেক্টর রানা বলেন, তার ভাইয়ের এই ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজে তারা অতিষ্ঠ। তবে একাধিক বিয়ের বিষয়ে তার ভাই যতটুকু দায়ী মেয়ে পক্ষও কোন অংশে কম দায়ী নয়। তিনি বলেন মৌসুমিকে বিয়ে না করার জন্য দুইবছর আগে অনেক বুঝিয়েছিলেন। কিন্ত সে সময় মৌসুমি তার কথা শুনে নাই।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান, ৪ মাসের সন্তান রেখে মৌসুমী নামের গৃহবধূ মারা গেছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে। এ বিষয়ে ইউডি মামলা হয়েছে।

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap