আজ ১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কষ্ট নিয়ে ইমাম বাড়াতেই ঘুরপাক খেলো তাজিয়া মিছিল

নিউজ ডেস্কঃ
করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে এবার তাজিয়া মিছিল বের হয়নি রাস্তায়। সীমিত আকারে ইমামবাড়া প্রাঙ্গণেই একটি সংক্ষিপ্ত মিছিল হয়েছে। অথচ প্রতিবছর লাখো মানুষের অংশগ্রহণে এই মিছিল বের হয়। তাই আক্ষেপ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই দিনটিকে শোকের দিন হিসেবে পালন করেন।
এবার মহররমে বড় আকারে তাজিয়া মিছিল না হওয়াতে অনেকেই আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। আগত অনেকেই তাদের এই কষ্টের কথা জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন তাজিয়া মিছিল ছাড়া মহররমের দিন ভাবাই যায় না।
কারবালার ময়দানে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ইমাম হোসাইন (রা.) জীবন দিয়ে যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তারই শোক প্রকাশে এমন আয়োজন হয় প্রতিবছর। এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারীরাও আসে। করোনার কারণে এবার মানুষও কম এসেছে। এই আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা শিয়ারা, তবে এতে অংশ নেন সুন্নীরাও। এমনকি মহররমের দিন হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় আসেন পুরান ঢাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আসেন অন্য সম্প্রদায়ের মানুষেরাও।
ভোর থেকে হোসেনি দালান ইমামবাড়াতে আসতে থাকেন ভক্তরা। জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় ইমামবাড়ার উত্তর দিকের প্রধান ফটকে দুটি ও দক্ষিণ গেটে দুটি করোনা প্রতিরোধক জীবাণুনাশক টানেল বসানো হয়েছে।
তবে এসব টানেল দিয়ে ঢোকার সময় জীবাণুনাশক স্প্রে বন্ধ ছিল।
সকাল দশটায় মহররমের শোকের মিছিল বের হয় হোসেনি দালান ইমাম বাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে। তবে সে মিছিল প্রাঙ্গণেই সীমাবদ্ধভাবে ঘুরতে থাকে।
ইমামবাড়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিবছরের মতো এবারও প্রচুর জনসমাগম হয়েছে। তবে ইমামবাড়া চত্বর ছোট হওয়ায় অনেকেই ভেতরে ঢুকতে পারেনি।
ইমামবাড়ার তত্ত্বাবধায়ক এম এম ফিরোজ হোসেন জানান, ৪০০ বছর ধরে ইমামবাড়া থেকে ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। এ বছর করোনার কারণে তা সীমিত আকারে করা হচ্ছে। সীমিত আকারে করতে গিয়ে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাব যাতে আর বিস্তার না হয় তাই এটা মেনে নিয়েছি। আমরা যেন আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি এটাই প্রার্থনা করি। আজকের দিনে এটাই চাওয়া।

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap