আজ ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দুর্বৃত্তদের হামলায় জখম ব্যবসায়ী, মামলা গ্রহণে টালবাহানার অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা)

সাভারে দুর্বৃত্তদের হামলায় মারাত্মক জখম হয়েছে এক ডিস ব্যবসায়ী। লুটপাট করা হয়েছে ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠান। এঘটনায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি আছেন ঐ ব্যাবসায়ী। তবে এ ঘটনায় থানায় মামলা গ্রহণে তালবাহানা করছে বলে অভিযোগ করেছে এই ব্যবসায়ীর পরিবার।

শুক্রবার আশুলিয়ার বেরন মানিকগঞ্জপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় ব্যবসায়ী সহ তার স্ত্রী আহত হয়।
আহত ৩৫ বছর বয়সী জাহাঙ্গীর আলম ময়না ওই এলাকার বাসিন্দা। তিনি নিজ এলাকায় ডিস ব্যবসা পরিচালন করতেন।

পরিবারের এক সদস্য জানান, দুই দিন আগে থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও মামলা না নিয়ে উল্টো নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করতে বলেছে পুলিশ। যদিও পুলিশ এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাহাঙ্গীর আলম ময়নার ভাই জালাল মোল্লা রোববার এসব অভিযোগ করেন।

অভিযুক্তরা হলেন একই এলাকার শাওন, কামরুল ইসলাম ও তার ভাই রতন, রাকিব, সাহিদসহ অজ্ঞাত সাত থেকে আটজন।

জালাল মোল্লা বলেন, ‘আমার ভাই ময়না দীর্ঘদিন ধরে নিজ এলাকায় ডিশের ব্যবসা করে আসছে, কিন্তু স্থানীয় সন্ত্রাসী শাওন ও তার লোকজন সে ব্যবসা দখলের পাঁয়তারা করে। মাঝেমধ্যেই এলাকায় ডিশ সংযোগের তার গোপনে কেটে দিত শাওন ও তার দলবল।’

তিনি বলেন, ‘শুক্রবার আমার ছোট ভাই তার স্ত্রীকে নিয়ে বাইরে গিয়ে রাতে বাসায় ফিরছিলেন। ওই সময় পথে শাওন, কামরুল, তার ভাই রতন, রাকিব ও সাহিদসহ সাত থেকে আটজন সন্ত্রাসী চায়নিজ কুড়াল, রামদা, ছুরি নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। আমার ভাই ও তার স্ত্রীকে তারা লাঠি দিয়ে মারধর করে।
একপর্যায়ে শাওন রামদা দিয়ে আমার ভাইয়ের মাথায় কোপ দিলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ওই সময় সন্ত্রাসীরা ময়নার কাছে থাকা ৫৫ হাজার টাকা ও তার স্ত্রীর গলায় থাকা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণের চেইন নিয়ে চলে যায়।’

তিনি আরও জানান, পথে আবারও সন্ত্রাসীরা তাদের আত্মীয় আমিনের দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

ময়নার ভাই অভিযোগ করেন, ‘ঘটনার দিন রাত ১১টার দিকে আমি আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করি। রাতে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করে যায়, কিন্তু ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। উল্টো এসআই হাসিব বলেছেন অপেক্ষা করতে যাতে বিষয়টা মীমাংসা করা যায়।
এখন আমার ভাইয়ের অবস্থা সংকটাপন্ন। মাথায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে বেশি অসুস্থ সে।’

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাসিব শিকদার মীমাংসার চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করেন, তবে মামলা নিতে বিলম্ব হওয়ার প্রশ্নে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

‘এসআই হাসিব বলেন, ‘পরশু (শুক্রবার) রাতে ওই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আজ (রোববার) রাতে মামলা হবে। আমরা তদন্ত করছি, আলোচনা হচ্ছে।’

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap