শিশু সন্তানের খেলা নিয়ে ঝামেলায় স্থানীয় মহিলা মেম্বার শেফালী তার ভাই ও তার পরিবারের সদস্যদের আঘাতে নয় মাস পঙ্গুত্ব নিয়ে অবশেষে মৃত্যু হলো প্রতিবন্ধী সন্তানের মা মিনি খাতুনের।
বিগত ২৫ জানুয়ারির ঘটনা, শিশু সন্তানের খেলা নিয়ে একজন আরেকজনের চোখে বালি দেবার অপরাধে কথা কাটাকাটির শুরু। ঝামেলার এক পর্যায়ে আছড়ে মাটিতে ফেলে দিলে মারপিট করার কারণে তার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ মেরুদন্ডের ভেতরে থাকা স্পাইনালকর্ড ভেঙ্গে যায় তার।
পঙ্গুত্ব নিয়ে নয় মাস জীবিত থাকার পরে গত রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মৃত্যুবরণ করে প্রতিবন্ধী সন্তান সহ তিন সন্তানের জননী পাবনার আতাইকুলা থানার সাদুল্লাপুর গ্রামের মাবুদ আলীর স্ত্রী মিনি খাতুন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দিন বলেন, এ সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতের বিচারাধীন রয়েছে এবং দুই মাস আগেই পুলিশ চার্জশিট দাখিল করেছে তাই আইনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বিচার সম্পন্ন হবে।
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি অবস্থা সম্পন্ন ও ক্ষমতার জোরে অভিযুক্ত আসামিরা পার পেয়ে যাচ্ছে। ফলে মাকে হারিয়েও সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিবন্ধী তুহিন ও তার তিন বোন। মিনির স্বামী মাবুদ আলী অসহায়তার সাথে করুন ভাবে স্ত্রীর হত্যাকান্ডের বিচার প্রার্থনা করেন। এদিকে মৃতদেহ দেখতে আশা শতাধিক মানুষ একটি সুষ্ঠ বিচার প্রত্যাশা করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শেফালীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি তারা রাজি হয় নি। এক পর্যায়ের সে দম্ভ করে বলেন ও মামলা করে আমার কি করবি এর জন্য তো আমার ফাঁসি হবে না।