– মুহাম্মদ শামসুল হক বাবু
নবাব জমিদারের ইতিহাস কিতাবে পড়েছি,
বাংলার গর্ব ছিলেন বারোভুঁইয়া এবং ইশা খাঁ
পানামাসিটির কথা আজও মনে পড়ে,
নারায়ণগঞ্জ হতে কিশোরগঞ্জ ঘুরে দেখলাম-
সারাদেশ ভ্রমণ করে অনেক কিছুই শিখলাম।
রাতের নির্জনতায় জোনাকিপোকার ডাক শুনেছি,
পরিশ্রান্ত আমি আর আমার ভাবনাগুলো,
গ্রাম্য মেঠোপথের দুপাশে অজস্র কাশফুল
সারি সারি বৃক্ষ আর কাঁচা ধানের গন্ধ-
মাটির গন্ধের সাথে মিশেছিল অদ্ভুত ছন্দ।
কখনও কখনও নীরবতা কথা বলে,
অদেখা সেই ভুতুড়ে পল্লীর শব্দ ভেসে আসে!
কেউ যেন কানে কানে কি যেন বলে যায়,
ঘর হতে বাহিরে যেখানেই আমি যাই-
আত্মার সাথে আত্মার অস্তিত্ব খুঁজে পাই!
অগণিত পুরোনো গুপ্তধন কেড়েছে মন
আমি সেই কথাই শুনতে এসেছি!
ক্ষুদ্র হৃদয় দিয়ে হৃদয় অনুভব করি,
দেখতে পাই অতীত- দেখতে পাই স্মৃতি-
আতিথেয়তায় জেগেছে সাহস আর কেটেছে ভীতি।
বিদীর্ণ যাতনায় নিস্তব্ধ রাতের প্রহর
হিমশীতল ছিমছাম পরিবেশ লেগেছে বেশ!
কোথাও কেউ নেই আছে শুধুই ছায়া আর মায়া,
আমি শিহরিত আমার পুলকিত ত্রিভুজ-
প্রতিটি অবুঝ গ্রামে আছে অবারিত সবুজ!
দেখলাম বিরহের শত জমানো কষ্টগুলো-
খসে পড়া ইটের দেয়ালে এখনও লেগে আছে!
এ এক অচেনা কান্নার ধ্বনি প্রতিধ্বনি,
পালতোলা নৌকায় প্রকৃতির প্রেম যেন রূপগঞ্জ-
ঐতিহ্যের মোহনায় মাটি ও মানুষের করিমগঞ্জ!
হাওর ঘেরা চরাঞ্চলের রাস্তা কখনও ডুবন্ত-
আবার কখনও বা দৃশ্যমান হয়ে দেখা দেয়,
ধনু আর নরসুন্দা নদী এবং সুস্বাদু মাছ কেড়েছে মন!
ইটনা মিঠামইন ও অষ্ট্রগ্রামে আছে সুন্দর রাস্তা-
রাষ্ট্রপতির এলাকার মানুষ সহজ সরল তবে নহে সস্তা!
ভেজা ঘাসে লেগে থাকা বিশুদ্ধ ভালোবাসা,
শান বাঁধানো হারিয়ে যাওয়া পুকুর পাড়ে-
তোমার গৌরবচিহ্ন আর সূক্ষ্ম পদধূলিতে,
মেখে দিলাম শেষ ইচ্ছেটুকু আমার ভিতরে-
হে আমার বঙ্গ আমি আছি যেন মাতৃভূমির জঠরে!
আমি আদিকালের সেই জঙ্গল বাড়ী হতে বলছি
আমি পাঁচ শত বছর আগের কথাই লিখছি!
যে কথা কেউ কখনও বলেনি কেউ শোনেনি,
অন্তরঙ্গ সঙ্গী ছিল আশরাফ খায়রুল আর রনি-
তোমরাই প্রকৃতিপক্ষে আমার হিরা মুক্তা মণি।