আজ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মহা সড়ক মেরামত করতে গিয়ে, ট্রাফিক পুলিশ কর্তিক মারধরের শিকার হলেন বৃদ্ধ শ্রমিক

বিশেষ প্রতিনিধি:

আশুলিয়ায় সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করার সময় এক বয়স্ক কর্মচারীকে মারধর করেছে জামগড়া ট্রাফিক পুলিশ বক্সের কর্মকর্তা সাজ্জাদ।

 

রবিবার(০৬ জুন) দুপুরে জামগড়া চৌরাস্তা এলাকায় সড়কের রক্ষনাবেক্ষণের কাজ করছিলেন শ্রমিক জহির। তখন তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করেন এই কর্মকর্তা।

 

সড়কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সওজের তালিকাভুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস এস ইন্টারন্যাশনালের কর্মচারী জহির। তিনি বলেন, আমি রাস্তায় কাজ করতেছিলাম, টি আই সাজ্জাদ এসে আমাকে মারধোর শুরু করেন। আমি আমার অপরাধের কথা জানতে চাইলে আরও মারধর করার হুমকি দেন।

 

এসএস ইঞ্জিনিয়ার্স এর মালিক ও ঠিকাদার লায়ন ইমাম বলেন, জামগড়া রাস্তায় পানি জমে সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যাতে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় আমার কর্মচারীরা সেখানে ইট বিছিয়ে সড়কের গর্ত ভরাট করছিল। এসময় তাকে এসে লাঠি দিয়ে মারধর করে টিআই সাজ্জাদ। আমি টিআই সাজ্জাদকে জিজ্ঞেস করেছি আমার শ্রমিক কি অপরাধ করেছে। এর উত্তরে সাজ্জাদ বলেন, ওই শ্রমিক নাকি মুখে বিড়ি নিয়ে ভ্যান চালাচ্ছিলেন। আমার শ্রমিক তো রাস্তার ভালোর জন্যেই কাজ করছিল।

 

তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী নয়নজুলি খাল আর এই রাস্তার পানি সমান উচ্চতায় রয়েছে। তাই এই সড়কের পানি বের হওয়ার কোন সুযোগ নেই। নয়নজুলি খাল অবৈধ দখলের কারণে পানি নিষ্কাশনের কোন সুযোগ নেই। তাই পানি জমে রাস্তা খারাপ হতেই থাকে, আর রাস্তা সচল রাখার জন্য আমাদের কাজ করতেই হয়। পুলিশ যদি আমাদের অসহযোগীতা করে আমরা কিভাবে কাজ করবো? পুলিশ মারধোর করার পর সব শ্রমিক কাজ বাদ দিয়ে চলে গিয়েছিল। আমি অনেক অনুনয় বিনয় করে তাদের কাজে ফিরিয়ে এনেছি।

 

শ্রমিক জহির বলেন, আমি তো আমার কাজই করছিলাম। কোন কথা না বলেই তার হাতে থাকা গাড়িতে আঘাত করা প্লাসটিকের লাঠি আমাকে মারধর করে। আমি তাকে বলছি আমরা রাস্তায় ইট দিচ্ছি। হাতের কবজি তে আঘাতের চোটে রক্ত বেড়িয়ে গেছে বলে ক্ষতস্থান দেখান তিনি। এর তিন দিন আগেও তাকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ জহিরের।

 

এ ব্যাপারে টি আই সাজ্জাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভাই ফোনটা বন্ধ রাখেন, আপনি ফোনটা বন্ধ রাখেন। এই বলে লাইন কেটে দেন তিনি।

 

এরপরে আবারো তাকে কল দেয়া হলে তিনি বলেন, আমি এই ব্যাপারে কথা বলতে বাধ্য না। আপনাকে কি আমি চিনি? আপনার সাথে কেন কথা বলবো আমি? পত্রিকার পরিচয় দেয়ার পরে তিনি বলেন, আমি এই ব্যাপারে কোন কথা বলবোনা।

 

এরপর তিনি নিজেই প্রতিবেদককে ফোন করে বলেন, আমি নিজেও অনলাইন পত্রিকার সাথে জড়িত আছি আমিও একটা ভিডিও করতেছি। আমিও একটা ই প্রকাশ করবো। আপনি করেন, আমিও করবো। অনলাইন পত্রিকায় দিব আমি।আমি রেকর্ডিং করছি আপনার কথা। আমিও অনলাইনে দিচ্ছি। আপনি কত বড় কোন সাংবাদিক হইছেন আমি দেখবো।

 

এব্যাপারে সাভার ট্রাফিক পুলিশের টিআই আব্দুস সালাম বলেন, আমি দুপুরেই বিষয়টি শুনেছি। তাকে যে মারধর করেছে তা ঠিক হয় নি। মারধের বিষয়টি আমি সমর্থন করি না। আমি আগামীকাল এব্যাপারে তার সাথে কথা বলবো। আর এঘটনা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জানে।

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap