খোরশেদ আলম, সাভার প্রতিনিধি:
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম খান নিখিল। যুবলীগের চেয়ারম্যান ফজলে শামস পরশ বলেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পরিণত হতে যাচ্ছে। আর পাকিস্তানিরা বাংলার বীরদের কে যেভাবে হত্যা করেছে তা অনেক আগেই পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ ছিল।
আশুলিয়া থানা যুবলীগ যদিও শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারেনি কিন্তু হাল ছাড়েনি।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান ফজলে শামস পরশ ও মাইনুল ইসলাম খান নিখিল
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন শহীদদের বেদীতে।
আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকার বলেন, আমাদের যুবলীগের চেয়ারম্যান মহোদয় শহীদের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে তাতেই আমরা অনেক আনন্দিত। এসময় উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকার ও যুগ্ম-আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া ও আশুলিয়া থানা যুবলীগের সম্মানিত সদস্য ইলিয়াস ভূঁইয়া ও সালাউদ্দিন সরকার ও সোহাগ তালুকদার ও নজরুল ইসলাম সরকার ও মাহফুজ আহমেদ।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকাল নয়টা পর্যন্ত স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকের সামনে অপেক্ষা করে ফিরে যান স্থানীয় যুবলীগ, ও কৃষক লীগ জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদীতে ফুল দিতে না পেরে রাস্তায় অপেক্ষা করতে দেখা যায় ঢাকা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিসহ কিছু সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের।
স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা যায় ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুল আমিন সরকার ও আশুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মন্ডল ও ধামসোনা ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ইসমাইল হোসেন বকুল ভূঁইয়াসহ অনেক নেতাকর্মী।
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম খান নিখিল। শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন পাকিস্তানের অনেক আগেই ক্ষমা চাওয়া উচিৎ ছিল।
স্থানীয় যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্ধারিত সময়ে স্মৃতিসৌধে এসেও ফুল দেওয়ার জন্য ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি তারা। জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ সকালে উন্মুক্ত না রাখতে পারলে সেটা আগেই জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।
কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমণ উপলক্ষে সে সময় কমিয়ে আনা হয়েছে।
সাভার থানার পরিদর্শক এ এস এম সায়েম বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমণ উপলক্ষে স্মৃতিসৌধ এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এজন্য স্মৃতিসৌধ এলাকাসহ আশেপাশের এলাকায় যথেষ্ট নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকাল সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত জনসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছিলো স্মৃতিসৌধ।
সেসময় শহীদদের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ শ্রদ্ধা নিবেদন করে।