ফজলুল হক- কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সিনাবহ ওন্দারটেক এলাকায় এক নারী
শ্রমিককে গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা
হয়েছে।
নির্যাতিতা নারী শ্রমিকের নাম আয়েশা বেগম(৩৮)। তিনি ওই
এলাকার ফজল মিয়ার স্ত্রী। সিনাবহ সালেক টেক্সটাইলে চাকুরী করেন। এ
ঘটনায় ওই এলাকার অভিযুক্ত শিলা(২৫) নামে একজনকে আটক করা
হয়েছে। আটককৃত শিলা অভিযুক্ত জুনাইদের স্ত্রী।
পুলিশ ও নির্যাতিত নারীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১২ মার্চ
বিকেলে উপজেলার সিনাবহ ওন্দারটেক এলাকায় ফজল মিয়ার স্ত্রীর সাথে
দখলীয় বন বিভাগের জমির সীমানা নিয়ে ঝগড়া বাঁধে পাশের বাড়ীর
জুনাইদের সাথে । তুমুল বাক – বিতন্ডতার এক পর্যায়ে ফজল মিয়ার স্ত্রী
আয়েশাকে টেনে নিয়ে যায় জুনাইদ ও তার সহযোগীরা। পরে আজিজ,
সালেহা ও শিলাসহ কয়েকজন মিলে আয়েশা বেগমকে আম গাছের সাথে
বেঁধে মারপিট করে। নির্যাতনের সময় আয়েশা বেগমের মেয়ে নুপুর
আক্তার এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করা হয়। এ সময় তাদের চিৎকারে
এলাকাবাসী এগিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং আয়েশাকে
উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
গত বুধবার বিকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান ও সিরাজ
উদ্দিন মাতাব্বর গণ এ বিষয়ে দুপক্ষকে নিয়ে বসে জুনাইদকে চার
হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু নির্যাতিতা আয়েশা বেগম তাদের
বিচার মেনে নেয়নি।
আয়েশা বেগম জানান, “জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নাসির উদ্দিন,
আজিজ, সালেহা, জুনাইদ ও তাদের লোকজন আমাকে আম গাছের সাথে
বেঁধে মারপিট করেছে। আমি ন্যায় বিচার চাই”।
সিরাজ উদ্দিন জানান, মহিলার চিকিৎসা খরচের জন্য ৫ হাজার টাকা
দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, থানার অভিযোগ প্রত্যাহারের পর ফাইনাল
বিচার করা হবে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন চৌধুরী
জানান, অভিযোগ পেয়েছি ,মামলা হবে এবং এ ঘটনায় একজনকে
আটক করা হয়েছে।