কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি :
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সেই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া স্তুপে মিলল এক পুড়া হাত। মঙ্গলবার দুপুরে ওই অগ্নিকান্ডের তদন্তে গিয়ে ওই পুড়া হাতটি উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
গত সোমবার (১১ জানুয়ারি) ভোরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরের দিন মঙ্গলবার সকালে ওই অগ্নিকান্ডের তদন্তে যান কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস। পরে দুপুরে পুড়ে যাওয়া স্তুপ থেকে এক পুড়া হাত দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কাছে জানায় স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে অগ্নিকান্ডে নিহত মুন্নি আক্তারের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থালে ছুটে আসে। এ সময় ওই পুড়া হাতটি ওই অগ্নিকান্ডে নিহত মুন্নি আক্তারের এমনটি দাবি করে তার পরিবারের লোকজন নিয়ে গেছে।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা কবিরুল আলম জানান, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের ডাইরেক্টর অপারেশন লেঃ কর্নেল জিল্লুর রহমান স্যারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার অগ্নিকান্ডের ঘটনার তদন্তে গিয়ে একটি পুড়া হাত উদ্ধার করা হয়। অগ্নিকান্ডে নিহত মুন্নির হাত দাবি করে তার পরিবারের লোকজন সেটা নিয়ে গেছে।
কালিয়াকৈর উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ কাজী হাফিজুল আমিন জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যে নিহতের পরিবারকে ওইদিনই নগদ ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় ১ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উল্লেখ, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গত সোমবার ভোরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে একই স্থানে চারটি কলোনিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দগ্ধ হয়ে মিলন মিয়া (৩৭) ও তার স্ত্রী মুন্নি আক্তার (৩০), ফরহাদ হোসেন (৩৮) আব্দুল আউয়াল (৪০) নামে চারজন নিহত হন। এরা সবাই স্থানীয় পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন। এদের মধ্যে একে অন্যের জীবন বাঁচাতে, কেউ শেষ সম্ভলের টাকা ও কেউ পরণের কাপড় আনতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে মারা যান। এ সময় দগ্ধ ও আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। আগুনে ৬১টি কক্ষ ও কক্ষে থাকা টাকা-পয়সা, বিভিন্ন মালামাল পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।