আজ ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফ্লাকচার টেলিফিল্মে কলিমুল হকের বাইক এম্বুল্যান্স

– মুহাম্মদ শামসুল হক বাবু

কোচবিহার মাথাভাঙা রাজ্য সড়কে দূর্ঘটনা। কোনও এক সন্ধ্যায় বাইক চালাতে চালাতে মোবাইলে প্রেমিকার সাথে কথা বলছিলেন আকাশ নামে এক যুবক। অন্যমনস্ক হওয়ায় পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাইকের, রাস্তার পার্শ্বে ছিটকে পড়েন বাইক আরোহী যুবকটি। করোনা সন্দেহে অচৈতন্য ও গুরুতর জখমকৃত আকাশকে নিকটস্থ চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে ফোন করেও পাওয়া যায়নি কোনও এম্বুল্যান্স।

অবশেষে আকাশের বন্ধু নাসির ফোন করেন বাইক এম্বুল্যান্স দাদা নামক পদ্মশ্রী খেতাবপ্রাপ্ত করিমুল হককে। করিমুল জখম হওয়া যুবকটিকে দ্রুত তার বাইক এম্বুল্যান্সে চাপিয়ে নিশিগঞ্জে চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন।

না, বাস্তবে এটি কোনও পথ দূর্ঘটনা ঘটেনি। আসলে এটি উত্তরের পরিচালক রোপ আক্তার আহমেদ এর টেলিফিল্ম ফ্ল্যাকচার এর শুটিং। পথ দূর্ঘটনা নিয়ে মানুষকে সচেতন করতেই এই টেলিফিল্ম বলে জানালেন পরিচালক রোপ আক্তার আহমেদ, তিনি বলেন- সচেতনতার অভাবে প্রতিদিন বাইক দূর্ঘটনা ঘটছে। কেউ মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে, কেউবা হেলমেট না পড়েই বাইক চালাচ্ছেন, মদ্যপান করেও গাড়ি চালানোয় ঘটনা ঘটেছে, ফলে প্রতিদিন অসংখ্য পথ দূর্ঘটনা ঘটেছে।

পাশাপাশি আকাশ ও নাসিরের বন্ধুত্বের মধ্যে সম্প্রীতির চিত্রটিও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি গণসচেতনতার মাধ্যম হলেও এর ভিতর একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প আছে। ফ্ল্যাকচার টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন করিমুল হক।

করিমুল হক বলেন- বাইক এম্বুল্যান্স দাদা হিসেবে আমাকে সবাই চেনেন। পথ দূর্ঘটনা কমাতে সরকার সেফ ড্রাইভ, সেফ লাইফ কর্মসূচি পরিচালিত করলেও যুব সমাজের একাংশের বেপরোয়া মোটর সাইকেল ড্রাইভিং অহরহ চোখে পড়ে।

এই টেলিফিল্মের মাধ্যমে কিছু মানুষকে যদি পথ নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন করা যায় তাই আমার বাইক এম্বুল্যান্স নিয়ে অভিনয় করলাম।

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap