ঝালকাঠির রাজাপুরে একটি মসজিদের নাম পরিবর্তন নিয়ে এলাকায় একই বংশের দুই পক্ষের মধ্যে চরম দ্বন্ধ দেখা দিয়েছে।
উপজেলার আরুয়া-সোনারগাও মকিম আলী খান জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
মসজিদের মুসল্লীরা জানায়, পূর্ব থেকেই এই মসজিদটি মকিম আলী খান জামে মসজিদ নামেই এলাকায় পরিচিত। কিন্তু মকিম আলী খানের নাতী মৃত রুহুল আমীন খান গোপনে নাম পরিবর্তন করে তার বাবা শামসের আলী খান জামে মসজিদ নামে বিএস রেকর্ড করেন। এ ঘটনায় মকিম আলী খানের আরেক নাতী মো. ইদ্রিস আলী খান জানতে পেরে পূর্বের নাম বহাল চেয়ে ২০১৯ সালে আদালতে মামলা করেন। যা এখনও চলমান রয়েছে। কিন্তু মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই মৃত রুহুল আমিন গংরা আবারও সুকৌশলে মসজিদের নাম পরিবর্তন করে খান বাড়ির মসজিদ নাম রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে ঐ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। মসজিদের অন্য মুসল্লীরাও রয়েছে আতঙ্কে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের ঘটনা। তাদের নামাজ পড়তেও অনেক সময় বিঘ্ন ঘটে।
মো. নুরুল আমিন খান জানায়, মসজিদের নাম দাদার নামে করা হয়েছিল। সেটা আমরা আমার বাবা শামসের আলী খান নামে রেকর্ড করে নেই। এই নাম না মানলে খান বাড়ি জামে মসজিদ রাখা হোক।
মো. আব্দুল কুদ্দুস খান জানায়, মসজিদের নাম আমার দাদা মকিম আলী খানের নাম বাদ দিয়ে গোপনে চাচা শামসের আলী খানের নামে রেকর্ড করায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. রসুল খান জানায়, অনেক পূর্ব থেকেই মকিম আলী খান মসজিদ নামে এটি পরিচিত। এই নামে ২০০৫ সালে কুয়েত জয়েন্ট রিলিফ কমিটি মসজিদটি পুননির্মাণ করেন।
এ ব্যাপারে রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।