আজ ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাভারের বংশী নদীর পাড়ের স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান

বিশেষ প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা)

ঢাকার সাভারে বংশী নদীর পাড় দখল করে নির্মিত প্রায় পাঁচশতাধিক অবৈধ স্থাপনা থাকলেও হঠাৎ করে, নির্দিষ্ট দুটি স্থাপনা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ঢাকা জেলা প্রশাসন। এই উচ্ছেদ অভিযানে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িও রয়েছে। ওই, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান দুই দিন আগে মৃত্যুবরণ করায় তার পরিবারকে দুই দিনের সময় দেয়া হয়। তার মৃত্যুর পরপর এমন অভিযানে দিশেহারা এই পরিবার।

১৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) সকাল থেকে বংশী নদী নামাবাজার সংলগ্ন খেয়া ঘাট এলাকায় ঢাকা জেলা সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ’ র নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশের বলে ২০ শতাংশ নদীর জায়গার উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চলছে। মূলত এখানে দুই জন ব্যক্তি অবৈধ ভাবে নদীর জমি দখল করে বাড়ি নির্মান করেছিলেন। এখন পনের শতাংশ যায়গার উপর নির্মিত স্থাপানা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। বাকি পাঁচ শতাংশ জায়গার উপর এক বীর মুক্তিযুদ্ধা বাড়ি নির্মান করেছিলেন, তিনি গত তিন দিন হয় মারা গেছেন। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে মালামাল সরিয়ে নিতে তার পরিবারকে দুই দিন সময় দেয়া হয়েছে।

বংশী নদীর পাড়ে অন্তত ৫শ অবৈধ স্তাপনা রয়েছে, তবে শুধু এই দুইটি স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান কেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা জানেন দখল কার্যক্রম যেমন একদিনে হয়নি তেমন উচ্ছেদ কার্যক্রমও একদিনে করা সম্ভব না। এখন শুধু দুইটি স্থাপনার বিরুদ্ধে আদেশ হয়েছে তাই দুইটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

৫ শতাংশ যায়গার উপর টিনসেড বাড়ি নির্মান করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়া। তিনি গত দুই দিন আগে মারা গেছেন।
মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহানের স্ত্রী হাসিনা বেগম জানান, তার স্বামী যায়গাটি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের নিকট থেকে ১৯৯৬ সালে ক্রয় করেন। তখন থেকে যায়গাটিতে বসবাস করছেন। এখন যায়গাটি উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন আমরা গরীব মানুষ। গরু লালন পালন করে জীবিকা নির্বাহ করি। বাড়ি ঘর ভেঙ্গে দিলে কোথায় যাব বুঝতে পারছিনা।

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap