আজ ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পুলিশের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে স্বামীর, অভিযোগ নিহতের স্ত্রীর

বিশেষ প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা)

কাশিমপুর থেকে আশুলিয়া ইউসুফ মার্কেট এলাকায় স্বামীকে ধরে নিয়ে এসে মারধর করার খবর পেয়ে, স্ত্রী প্রথমে কাশিমপুর থানায় পড়ে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে এসে অভিযুক্ত ব্যক্তির সাথে কথা বলে অভিযোগকারী কে বকাঝকা করেন আশুলিয়া থানার এসআই। এমনটি অভিযোগ করেন সচিবালয়ের স্টিকার লাগানো গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নিহত ব্যক্তির স্ত্রী রুমানা আক্তার।

এর আগে ঝুট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আলীকে, চুরির অপবাদ দিয়ে কাশিমপুর থেকে আশুলিয়ায় এনে পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর নিহতের লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে সচিবালয়ের স্টিকার লাগানো গাড়িতে করে, নিয়ে যাওয়ার পথে নাটোরের বড়াই গ্রামে এসআই রাশেদুল ইসলামের হাতে আটক হয়।

নিহত হযরত আলীর স্ত্রী রুমানা আক্তার বলেন আশুলিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম একটু সচেতন হলে আমার স্বামীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হতো। কারন আমি যখন অভিযোগ করেছি সে অভিযোগের তদন্ত করতে এসে বিবাদির কথা শুনে, আমার কথায় কর্নপাত না করে উল্টো আমাকে গালি গালাজ করে বলেন, তুমি টাকা নেয়ার জন্য ফন্দি করেছ বাড়িতে গিয়ে তাকে খুজো।

নিহতের স্ত্রী আরও বলেন, ২০ ইং মার্চ রাতে ঝুটের গুদামের মালিক মিজানুর রহমান তার স্বামী হযরত আলীকে কাশিমপুর থেকে ধরে নিয়ে আশুলিয়ার ইউসুফ মার্কেট এলাকায় একটি ছয় তলা ভবনে আটকে রেখে মারধর করে। এখবর শুনে সে প্রথমে কাশিমপুর থানায় গিয়ে ওসিকে জানান। কাশিমপুর থানা থেকে তাকে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়। আশুলিয়া থানায় এসে জানতে পারে, বর্তমান নিয়ম কেউ প্রথমে কোন লিখিত অভিযোগ করতে পারে না। অভিযোগ কারিকে প্রাথমিকভাবে মৌখিক অভিযোগ জানাতে হয়। পরে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আশুলিয়া থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম বাংলাবাজারে বিবাদী এর কাছে প্রথম তদন্তে যান।

এ বিষয়ে নাটোরের বড়াই গ্রাম থানার এস আই রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, সচিবালয়ের স্টিকার লাগানো বিলাসবহুল একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৪০৫৮৭) খুব গতিতে যাচ্ছিল। এসময় সন্দেহ হলে আমরা তল্লাশি চালাই। এরপর গাড়ির পেছন থেকে বস্তাবন্দি হযরত আলী নামের ওই ব্যক্তির লাশ দেখতে পাই। তাৎক্ষণিক ওই জিপ ও চালক মিজান শেখকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।

পুলিশ আরও জানান, মিজান আশুলিয়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করতো। সে গার্মেন্টস ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। ধারণা করা যাচ্ছে মৃত ব্যক্তিকে কোন দ্বন্দ্বের জেরে হত্যা করে লাশ দূরে কোথাও ফেলে দিতে যাচ্ছিল। আটক মিজান মাগুরার শেরপুর এলাকার মৃত গোলাম হায়দার আলীর ছেলে।

নিহতের লাশ গাজীপুরের একটি হাসপাতালে ময়ণা তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারী মিজানসহ তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদেরকে চিন্হিত করার জন্য পুলিশ কাজ করছে।

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap