আজ ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৭ হাজার ইয়াবাসহ চিকিৎসক গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক

বুধবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি টোলপ্লাজায় একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবাসহ ওই চিকিৎসক ও গাড়ি চালক ধলু ফরাজীকে গ্রেফতার করে।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

গ্রেফতার রেজাউল হক রাজধানীর উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক। তিনি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের স্কুলশিক্ষক সামছুল হকের ছেলে।

পুলিশ সুপার বলেন, প্রাইভেটকারযোগে চট্টগ্রামের লোহাগড়া এলাকা থেকে ঢাকায় ইয়াবা পাচার হচ্ছে- এমন তথ্য পেয়ে ডিবির একটি টিম দাউদকান্দি টোলপ্লাজায় অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে প্রাইভেটকারটি সেখানে পৌঁছলে দাঁড় করানো হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে ১৭ হাজার ইয়াবাসহ চিকিৎসক রেজাউল হক এবং চালক ধলু মিয়া ফরাজীকে গ্রেফতার করা হয়। চালক ধলু মিয়া শরীয়তপুরের ঘোষাইহাট উপজেলার বড়কাছনা গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. সাখাওয়াত হোসেন, আজিম উল আহসান, তানভীর সালেহীন ইমন, নাজমুল হাসান রাফি, ডিআইও-১ মো. মাঈনুদ্দিন ও ডিবির ওসি আনোয়ারুল আজিমসহ অভিযানে অংশ নেয়া ডিবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেফতারকৃত চিকিৎসক সাংবাদিকদের জানান, কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে এসএসসি, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকার শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন তিনি। পরে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরি নেন।

ইয়াবা ব্যবসার বিষয়ে গ্রেফতার চিকিৎসক বলেন, ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে যাওয়ার পেছনে অনেক ইতিহাস রয়েছে। আগে একবার আমাকে মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়। তবে এবারের ইয়াবার চালান জেদ করে ঢাকায় নিতে চেয়েছিলাম। বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এফসিপিএস তৃতীয় পার্টে অধ্যয়ন করছি আমি। পরিবার নিয়ে ঢাকার উত্তরা এলাকায় বসবাস করি।

অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া ডিবির এলআইসি টিমের প্রধান পুলিশ পরিদর্শক ইকতিয়ার উদ্দিন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন মাঝেমধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে নিজেই, কখনও লোক পাঠিয়ে ইয়াবা ঢাকায় নিয়ে একাধিক সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করতেন। গাড়িতে চিকিৎসক স্টিকার থাকতো বলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার চোখ এড়িয়ে সহজেই মাদক নির্ধারিত স্থানে আনা-নেয়ার কাজ করতেন। এর আগেও পুলিশের হাতে মাদক নিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় মাদক মামলা রয়েছে। নতুন করে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার মূল্য প্রায় ৫১ লাখ টাকা।

একেএস/ বাংলা পেপার২৪

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap