যশোরের কেশবপুর উপজেলার জলাবদ্ধার কারনে এলাকার লোকজন একেন ভিতরে অনেক কিছু করার চেষ্টা। তারিই ধারাবাহিকতায় এলাকায় মাছের ঘেরের আইলে তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কেশবপুরের বিল খুকশিয়ার কৃষকরা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রথমবারের মতো তরমুজ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন তারা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব তরমুজ পৌঁছে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
বিল খুকশিয়া এলাকা কেশবপুর শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সুফলাকাটি ইউনিয়নের শ্রীহরি নদীর তীরে এই অঞ্চল। এ অঞ্চলটি প্রায় ১৮ বছর জলাবদ্ধ থাকায় কৃষকেরা ফসল ফলাতে পারেন না। পরে এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে জোয়ার-আঁধার (টিআরএম) প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প শেষে কৃষকরা সেখানে মাছের ঘের তৈরি করেন। আর এবার সেসব ঘেরের আইলে মাচা দিয়ে তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা।
তরমুজ চাষি মহসিন উদ্দিন জানান, তিনি ১৩ বিঘা মাছের ঘেরের আইলে এক হাজার চারশ তরমুজের মান্দা তৈরি করে ফলন পেয়েছেন ২৭৫ মণ। প্রতি মণ তরমুজ ১২০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
আরেক চাষি আব্দুল হালিম খান জানান, তিনি ১২০টি মান্দা তৈরি করে ৩০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন।
সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিল খুকশিয়া জলবদ্ধ হয়ে ছিল দীর্ঘ ১৮ বছর। কৃষকরা কোনো আবাদ করতে পারেনি এই বিলে। ২০০৫ সালে এখানে টিআরএম প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প শেষে বিলটিতে কৃষকরা ধান চাষের পাশাপাশি তৈরি করেন মাছের ঘের। মাছের ঘেরের আইলে এ বছর তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন তারা। ধান, মাছ চাষের পাশাপাশি তরমুজ চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফিরেছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, ‘বিল খুকশিয়ায় মাছের ঘেরের ২৫৪ বিঘা আইলে তরমুজ চাষ ওই এলাকার কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলেছে। অনেকেই নতুন করে তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন। এশিয়ান-১, পাকিজা সুপার, ব্লাক কিং, ব্লাক কুইং জাতের তরমুজ এখানে বেশি আবাদ করা হয়েছে।’