নিউজ ডেস্ক:
টরন্টোয় বর্ণবিরোধী সমাবেশে দ্বিতীয় দিনে স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে বিক্ষোভকারীরা সমবেত হন; প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী, পুলিশের হাতে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর ঘটনায় রাজপথে মিছিলে বের করে এবং হাতে বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড প্রদর্শন করে বিক্ষোভ করেন।
বৃহত্তর টরন্টোয় আয়োজিত কয়েকটি বিক্ষোভ সমাবেশের একটি সমাবেশ ন্যাথান ফিলিপস স্কোয়ারে আয়োজন করে বিক্ষোভকারীরা। এতে অন্যান্য বিক্ষোভকারীদের সাথে একটি ভিন্নধর্মী প্লেকার্ড হাতে দেখা যায়, কানাডা ও বাংলাদেশের সমাজসেবায় আত্মনিবেদিত প্রবাসী শমসের আলী হেলালকে। তিনি ‘আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক; এটা অভিন্ন বিশ্বের মানবজাতির জন্য একতাবদ্ধ হবার সময়’ এ ধরনের লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন এই বিক্ষোভ সমাবেশে।
জানা যায় তিনি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ও কানাডাসহ সারা বিশ্বে মানুষের একতা ও ভালোবাসা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মকান্ড করে থাকেন। তারই অংশ হিসেবে এই সমাবেশে, তিনি বিশ্ববাসীর প্রতি শান্তি কামনা করে, সকলকে ভেদাভেদ ভুলে এক হওয়ার আহ্বান জানান।
উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই ছিলেন নবীন। ইউনিভাসির্টি অ্যাভিনিউস্থ মার্কিন যুক্তরােেষ্ট্রর কনস্যূলেটের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে সমস্বরে বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তুলে বিক্ষোভকারীরা, -এরমধ্যে ‘কৃষ্ণাঙ্গ জীবন অর্থবহ’, ‘ন্যায়বিচারহীনতা শান্তির পরিপন্থী’ এবং ‘অস্তিত্ব মানুন নতুবা প্রতিরোধ দেখুন’। স্লোগান গুলি ছিল বেশি।
বিক্ষোভ সমাবেশে টরন্টোর পুলিশ ইন্সপেক্টর ম্যাট ময়ার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অভিভূত হয়ে অন্যদের সঙ্গে এক হাঁটু গেড়ে আট মিনিট ছেচল্লিশ সেকেন্ড বসে পড়েন।
এছাড়াও ৭ বছর আগে পুলিশের হাতে নিহত সিরিয়ার অভিবাসী তরুণ স্যামী ইয়াতিমের শোকার্ত মাতা ডা. সাহার বাহাদি বলেন, ‘পুলিশ কাউকে গুলির আগে যেন হাজারবার ভাবুক’।