আজ ৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কুড়িগ্রামে কেটে ফেলা মুড়ি ধানের গোছা থেকে পূণরায় ধান উৎপাদনে উচ্ছাসিত কৃষক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

বোরো ধান কাটার পর পর জমিতে ফেলে রাখা কাটা মুড়ির গোছা পরিচর্চা করে পূণরায় ধান পেয়ে খুশি কুড়িগ্রামের কৃষক। পরীক্ষামূলকভাবে এই মুড়ি বা নাড়া থেকে বিঘায় প্রায় ৬মন ধান পেয়েছে কৃষক। স্বল্প খরচে ফেলে রাখা মাঠে শুধু ধান নয়, খড়ও পেয়ে গবাদি পশুর খাদ্য মেটাতে পারবে তারা। সারা জেলায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে দুই শতাধিক কৃষক ৭৫ একর জমিতে ফেলে রাখা ধানের রেটুন বা মুড়ির গোছা থেকে আবার ধান পেয়ে উচ্ছাসিত।

বোরো ধান কেটে ফেলার পর প্রায় দুই মাস জমি ফাঁকা পরে থাকে। এসময় কাটা ধানের মুড়ি/নাড়া খেয়ে ফেলে গবাদিপশু। এই মুড়ির গোছা যতœ করলে যে আবার ধান পাওয়া যায় সেই পরীক্ষায় সফল হয়েছে কুড়িগ্রামের কৃষক। একদিকে যেখানে আমন ধানের প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষক সেখানে জেলাসহ রাজারহাট উপজেলায় পরিত্যক্ত কাটা বোরো ক্ষেতের মুড়ি/নাড়া বা ধানের রেটুন পরিচর্চা করে দ্বিতীয়দফা আবার ধান উৎপাদন করে চমক সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পূণরায় ফসল পেয়ে খুশি কৃষক। এসব ফেলে রাখা জমির মুড়ি বা রেটুনে ধান কাটার ৭ থেকে ১০দিনের মধ্যে বিঘা প্রতি ৭ কেজি ইউরিয়া, ৫ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি প্রয়োগ করতে হয়। জমিতে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে হয়। জমিতে গরু ছাগলের বিচরণ বন্ধ ও আগাছা পরিস্কার রাখলে ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে পূণরায় ওই মুড়ি থেকে ধান পাওয়া যায়। কৃষি বিভাগের পরামর্শে পরীক্ষামূলকভাবে পূণরায় ধান উৎপাদন করতে পেরে খুশি কৃষক। রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের মুসরৎ নাকেন্দা গ্রামে ধান কর্তন দেখতে আসা বিভিন্ন এলাকার কৃষকগণ এই পদ্ধতি আগামিতে ব্যবহার করবেন বলে জানান।

সম্পা আকতার, উপজেলা কৃষি অফিসার, রাজারহাট, কুড়িগ্রাম।
বোরা ধান কাটার পর ৬০ থেকে ৭০ দিন জমি পরে থাকে। বিশেষ করে ২৮ ধানের মুড়ি থেকে পূনরায় কুশি হতে দেখা যায়। সেই চিন্তা থেকে এবার জমিতে ফেলে রাখা ২৮ ধানের মুড়ি পরিচর্চা করে পূণরায় ধান পেয়ে খুশি কুড়িগ্রামের কৃষক।

#

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap