বিশেষ প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা)
সাভারে অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দীর্ঘ ১২ বছর পর গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
শুক্রবার দুপুর ২টায় র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান, একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে র্যাব-৪ এর একটি চৌকস দল ২৪ মে সাভারের উলাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে, ধামরাইয়ের চাঞ্চল্যকর দানিশ (১৪) অপহরণের পর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জিন্নাত আলী(৩৮) কে গ্রেফতার করে।
র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ২০০৯-১০ সালে আসামী মোঃ জিন্নাত আলীর নেতৃত্বে জিন্নাত গ্যাং নামের সন্ত্রাসী গ্রুপ ধামরাই উপজেলায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যাসহ এক ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে।
গত ১৮/০৯/২০১০ ইং তারিখ জিন্নাতসহ তার গ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যেরা ধামরাইয়ের কুশুরা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের দানিশ (১৪) নামের কিশোরকে অপহরণ করে পরিবারের নিকট মুক্তিপণ দাবি করে। দানেশের পরিবার অস্বচ্ছল হওয়ায় দাবিকৃত মুক্তিপণ দিতে পারেনি। এতে অপহরণকারীরা কিশোর দানিশের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় দনেশের মা শোভা আক্তার বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে, ধামরাই থানা পুলিশ আসামী জিন্নাত ও তার একাধিক সহযোগীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। ১৮ মাস কারাভোগের পর বিচারাধীন অবস্থায় শর্ত সাপেক্ষে জামিনে বেরিয়ে আসে জিন্নাত।
বিজ্ঞ আদালত গত ২০২২ সালে দানিশ অপহরণ ও হত্যা মামলায় জিন্নাত আলীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করে। এর পর থেকেই সাজাপ্রাপ্ত জিন্নাত গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মবেশ ধারণ করে সাভারসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী ও রিক্সাচালক হিসেবে আত্মগোপনে করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।