বিশেষ প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা)
সাভারের চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস মমতাজ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে, প্রধান হত্যাকারী’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
১৪ (ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৪ সি,পি,সি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।
এর আগে গত ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ বিকেলে হত্যাকারী কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন কাচারীকান্দি পাঁচকিস্তা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা শরীফ (৩৭), ভুক্তভোগী মমতাজকে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের কেলিয়া এলাকার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উত্তর পাশে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে, ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে রশি ও ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তাদের দুজনার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলে জানায় র্যাব।র্যাব আরো জানায় অবৈধ সম্পর্কের কথা প্রকাশ করে দেয়ার হুমকি দিলে ভুক্তভোগী মমতাজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে শরীফ।
নিহত মমতাজ বেগম (৩৩) কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন রঘুনাথপুর গ্রামের হারেজ মিয়ার ছয় সন্তানের মধ্যে তৃতীয় মেয়ে। সে হত্যাকারী শরীফের সম্পর্কে বিয়াইন এবং দেশের বাড়ী একই এলাকায় হওয়ায়, ভিকটিমের পরিবারের অস্বচ্ছলতার কারনে ঢাকায় এনে গার্মেন্টসে চাকুরী দেয় নিজ কর্মস্থলে। এবং আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া করে দেয়।
ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে, অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার সুত্র ধরে র্যাব-৪ এর একটি দল আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় লাশটি পরিচয় সনাক্ত করে। হত্যার রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনতে তৎক্ষণাৎ ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-৪।
র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতায় ১৩ ফেব্রুয়ারি একটি আভিযানিক দল রাজধানীর কালশী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস মমতাজ হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটনপূর্বক হত্যাকান্ডের মূলহোতা শরীফ (৩৭) কে গ্রেফতার করে।
র্যাব-৪ সি,পি,সি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানায়, হত্যার পর শরীফ ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইলটি ঢাকা-আরিচা মড়াসড়কের সিএনবি নামক স্থানে ফেলে দিয়ে চলে যায় এবং কাউকে কোন কিছু বুঝতে না দিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকে। পরবর্তীতে র্যাব তার বিষয়ে অনুসন্ধান করছে বুঝতে পেরে শরীফ আত্মগোপনে চলে যায়। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় শরীফ সিলেট, গাজিপুর, ঢাকা মালিবাঘ, মোহাম্মদপুরসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পরিচয় গোপন করে জোবায়ের নামে পরিচয় দিত। এছাড়াও উভয়ের মধ্যে আর্থিক লেনদেন ও পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়ে অভ্যন্তরীণ মনোমালিন্যের জেরে ভিকটিম মমতাজকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। আসামি শরিফ জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় এই কর্মকর্তা।