আজ ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আতাইকুলার প্রবীণ রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব আব্দুল হাই সেখের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী

সোহেল রানা, পাবনা:

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী, সাংবাদিক, সমাজসেবক ,মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল হাই সেখের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই তার নিজ বাসায় রাত ১২ টা ৫ মিনিটে স্টক করে মারা যান তিনি।

আলহাজ্ব আব্দুল হাই শেখ পিতার নাম মৃত সুফি জসিম উদ্দিন শেখ মাতার নামঃ মৃতঃ ছবিরন নেছা । তিন ভাই ও চার বোনের মধ্যে সবার চেয়ে ছোট। তাঁর বাবা ছিলেন ইন্ডিয়ান ইস্টবেঙ্গল কোম্পানিতে চাকরি করতেন,একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার ,কামার বা কর্মকার, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকতা করেছেন সুজানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন সড়াডাঙ্গা আলিম মডেল মাদ্রাসার সভাপতি ছিলেন তাকে সবাই সুফি সাহেব বলতেন। আতাইকুলা বাজার জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠার অন্যতম সদস্য ছিলেন।

 

জন্ম ও মৃত্যু

আলহাজ্ব আব্দুল হাই শেখ ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জুলাই পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানার অন্তর্গত আর আতাইকুলা ইউনিয়ন এর রঘুনাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই তার নিজ বাসায় রাত ১২ টা ৫ মিনিটে স্টক করে মারা যান।

একাধারে তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী, সাংবাদিক, সমাজসেবক ও গরীব দুঃখি মানুষের বন্ধু।

মহান রব্বুল আলামীনের রহমতে ২০১৭ সালে পবিত্র হজ পালন করার তৌফিক দান করেন মহান রাব্বুল আলামিন।

 

শিক্ষাজীবন।

রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণি পাশ করেন ও ১৯৮১ সালে আতাইকুলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে মাধ্যমিক পাস করে এবং ১৯৮৬ সালে আতাইকুলা আমেনা খাতুন ডিগ্রী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তারপর শহীদ বুলবুল কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বি.কম পাশ।

রাজনৈতিক জীবন। শহীদ বুলবুল কলেজের ছাত্র সংসদের জি এস ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যখন দুঃসময় তখন তিনি সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য এবং আর-আতাইকুলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের তথ্য বিষযক সম্পাদক সম্পাদক ছিলেন। আর আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের তিনবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে গেছেন ১ম দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন ২০০২ ২য় স্বতন্ত্র প্রার্থী ২০১৬ ৩য় উপনির্বাচন স্বতন্ত্র প্রার্থী ২০১৭।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন। তিনি দীর্ঘ ১ যুগ ধরে অত্যন্ত সুষ্ঠুতার সাথে আতাইকুলা উচ্চ বিদ্যালয়’র ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে গেছেন। দীর্ঘ ২৮ বছর যাবৎ রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক মণ্ডলীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি। আতাইকুলা মাধপুর আমিনা খাতুন ডিগ্রী কলেজে ও ফাতেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় গভর্নিং বোর্ডের সদস্য ছিলেন। রঘুনাথপুর কারীমিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন আতাইকুলা কোরআনিয়া মাদরাসা। ইসলামিক ফাউন্ডেশন, আতাইকুলা থানা কমিটির সাবেক সভাপতি তিনি। সদস্য ছিলেন আতাইকুলা থানা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি ও রঘুনাথপুর কমিউনিটি ক্লিনিক’র। ছিলেন আতাইকুলা বাজার বণিক সমিতির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। আর আতাইকুলা বহুমুখী সমবায় সমিতির কমিটির সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ ট্রাক ড্রাইভার্স ইউনিয়ন আর আতাইকুলা বাজার শাখা সভাপতি, আতাইকুলা গরু মহিষ মালিক সমিতির সভাপতি,পাবনা জেলা শিল্প মালিক সমিতির কমিটির সদস্য, আর আতাইকুলা শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি ছিলেন, আতাইকুলা উচ্চ বিদ্যালয়’র এলামনাই এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য। প্রধান উপদেষ্টা, ম্যানকাইন্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, দুর্জয় বাংলা ও দৈনিক খবর বাংলা’র পাবনা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছিলেন আতাইকুলা প্রেসক্লাব’র প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি।

 

রঘুনাথপুর ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি, রঘুনাথপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও কেন্দ্রীয় কবরস্থান কমিটির বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি দীর্ঘ দিন। এছাড়া জীবদ্দশায় তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন।

 

কর্মজীবন

রাজশাহী বিভাগ পশু চিকিৎসক প্রশিক্ষণ থেকে দ্বিতীয় স্থান অধিকার অর্জন করেন এবং সাথিয়া পশু ডাক্তার হিসেবে যোগদান করেন কিন্তু পরে সে চাকরি করেননি, সারের ব্যবসা, মৎস্য চাষ, পল্লী রেশন ডিলার, ৪০০ শতাংশ জমি গভীর নলকূপ ডিপকল প্রতিষ্ঠা করেন এবং কৃষি কাজ পরিচালনা করেন ও ভাই ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াকসপ প্রোপাইটর ছিলেন।

 

পারিবারিক জীবন।

তার স্ত্রী’র নাম মোছাঃ জহুরা খাতুন। তাঁর ছিলেন তিন পুত্র ও এক কন্যা সন্তান এর জনক। তার প্রথম সন্তানের নাম মোছাঃ রোজিনা খাতুন। তিন পুত্র হলেন মোঃ রবিউল ইসলাম রতন ব্যবসায়ী, মোঃ লিটন মাহমুদ (সভাপতি, রঘুনাথপুর মৎস্যজীবী সববায় সমিতি। আর-আতাইকুলা ইউনিয়নের মৎস্য সম্প্রসারণ প্রতিনিধি। সাঁথিয়া উপজেলা তাঁতিলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। সাবেক পাবনা জেলা বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগ ও ছাত্র পরিষদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক) এবং তৃতীয় ও সর্বকনিষ্ঠ সন্তান মোঃ মিঠুন শেখ মিঠু (সভাপতি, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ, সাঁথিয়া উপজেলা শাখা। সাংগঠনিক সম্পাদক, আর-আতাইকুলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ)। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ম্যানকাইন্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আতাইকুলা সুফী জসীম উদ্দিন ব্লাড ডোনেট সংস্থা। প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব আব্দুল হাই শেখ স্মৃতি পাঠাগার, সাধারণ সম্পাদক, রঙ খেলাঘর আসর। যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, রুরাল কালচার বাংলাদেশ। উৎসর্গ ফাউন্ডেশন পাবনা জেলা শাখার সাবেক উপ ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক, কার্যকরী সদস্য, আতাইকুলা উচ্চ বিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন।

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap