জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় কবরস্থানে এক নবজাত কন্যা শিশুর মৃতদেহের দাফনে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ভেড়ামারা চড়পাড়া গোরস্থান কমিটির সভাপতি আব্দুস সামাদ খাঁনের বিরুদ্ধে। পরে তারা জাতীয় জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯ কল দিয়ে রাতে ঐ শিশুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। হতভাগা নবজাতক কন্যা শিশু উপজেলার চড়পাড়া গ্রামের মনিরুলের সন্তান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার সকালে চড়পাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে একটি কন্যা শিশুর জন্ম দেন। ঐ দিন বিকেলেই শিশুটি মারা যায়। তখন পরিবারের লোকজন শিশুটির জন্য ভেড়ামারা চড়পাড়া যৌথ কবরস্থানে কবর খোঁড়ার জন্য গেলে ভেড়ামারা চড়পাড়া কবরস্থান কমিটির সভাপতি আব্দুস সামাদ খাঁনের নির্দেশে সাবেক ইউপি সদস্যের শফির ছেলে ফারুক ও অঞ্জু মাষ্টারের ছেলে রনির নেতৃত্বে গ্রামের কয়েক যুবক গোরস্থানের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে তখনই আলোচনা শেষে কবর খোড়ার অনুমতি পান। কবর খোঁড়া শেষে শিশুটির পরিবারের লোকজন শিশুটির জানাজা নামাজের জন্য ফিরে যায়। জানাজা শেষে শিশুটির মৃত দেহ দাফনের জন্য নিয়ে এসে পুনরায় গোরস্থানের গেটে তালা লাগানো দেখতে পায় তারা। উপায় না পেয়ে তারা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দেয় এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ বেশ কিছু জনপ্রতিনিধিদের জানায়। পরে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ গিয়ে জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শিশুটির মৃহদেহ দাফনের ব্যবস্থা করে।
জানা গেছে, এতিমখানার ১৪ শতক জায়গা নিয়ে চড়পাড়া এলাকার বাসিন্দাদের সাথে ভেড়ামারা এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনে বিরোধ রয়েছে।
ভেড়ামারা চড়পাড়া গোরস্থান কমিটির সভাপতি আব্দুস সামাদ খাঁন বলেন, গোরস্থানের পাশের অবস্থিত এতিমখানা নিয়ে জমিজমা সংক্রান্ত ঝামেলার কারনে গেটে তালা দেওয়া হয়েছিল। পরে সেটা সমাধান করা হয়েছে।
পারভাঙ্গুড়া ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভাঙ্গুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ঘটনার বিষয়ে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করা হয়েছিলে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছানোর আগেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় শিশুটির দাফন সম্পন্ন হয়।