-
- ক্রাইম, ঢাকা, সারাদেশ
- প্রাইভেটকারে যাত্রী তুলে ছিনতাই-হত্যা, গ্রেপ্তার ২।
- প্রকাশের সময়ঃ ফেব্রুয়ারি, ১৯, ২০২০, ৩:৫৭ অপরাহ্ণ
- 534 বার পড়া হয়েছে
সাভার প্রতিনিধিঃ
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক রুট ব্যবহার করে প্রাইভেটকারে যাত্রী উঠিয়ে ছিনতাই ও হত্যাকান্ডের পৃথক তিনটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে এসব ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে সাভার মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার এসব বিষয় নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার সরদারকান্দি গ্রামের মুকিত খানের ছেলে মোঃ শাহিন ওরফে সুহিন খান (৩৪) এবং মাদারিপুর জেলার কালকিনি থানার পূর্বমাইজপাড়া গ্রামের ইস্কান্দার আলীর ছেলে মোঃ মুর্তুজা (৩৪)।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারী মানিকগঞ্জ জেলায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল শ্রী লিটন মাহাতোকে কৌশলে প্রাইভেটকারে উঠায় ছিনতাইকারীরা। পরে পথিমধ্যে আরো ২-৩জন ছিনতাইকারী যাত্রীবেশে একই প্রাইভেটকারে ওঠে। এরপর ওই পুলিশ সদস্যের হাত-পা বেঁধে তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে পরিবারের নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে ছিনতাইকারীরা। এঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা (নং-৩৯) দায়ের করার হলে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গত ১৭ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর-২ পোষ্ট অফিসের সামনে থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ চালক মুর্তুজাকে গ্রেপ্তার করে। একইদিন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের অন্য একটি অভিযানিক দল চাঁদপুরের সরদারকান্দি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে শাহীন ওরফে সুহিন খানকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, গত বছরের ১৮ আক্টোবর মানিকগঞ্জের বাসিন্দা নিরাপত্তা কর্মী আলাউদ্দিনকে (৪৫) যাত্রী হিসেবে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে জিম্মি করে। পরে টাকা পয়সা না পেয়ে আলাউদ্দিনকে মারধর ও হত্যা করে ধামরাইয়ের জয়পুরা এলাকার পাল সিএনজি পাম্পের পার্শ্ববর্তী ইঞ্জিনিয়ার আবু তাহেরের বাড়ির কাছে ফেলে দেয়। গত ২ ফেব্রুয়ারী একইভাবে আবু নাঈম (৫৪) ও তার চাচাতে ভাই বেলায়েত হোসেনকে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে তাদের হাত-পা বেঁধে ফেলে ছিনতাইকারীরা। পরে তাদের এটিএম কার্ডের পিন নম্বর নিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও বেলায়েতের মোবাইলের বিকাশ এ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ হাজার টাকাসহ দুটি মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয় চক্রটির সদস্যরা।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি কৌশলে প্রাইভেটকারে যাত্রী উঠিয়ে ছিনতাই, মুক্তিপণ আদায়সহ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। বিষয়টি জানার পর চক্রটিকে ধরতে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া হলে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে চক্রটির দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত আরও দুই সদস্যকে সনাক্ত করা হয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিভাগের আরো সংবাদ