ইবি প্রতিনিধি :
দীর্ঘদিন পদ শূণ্য থাকার পর গত ৫ মে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ হন। নিয়োগ পান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক ছাত্র অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। কিন্তু নিয়োগের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পক্ষ তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা মহলে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের ছাত্রদলের একটি অস্পষ্ট ছবি ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে কারো মুখায়ব স্পষ্ট নয়। কিন্তু অনেকেই এখানে বর্তমান কোষাধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনের উপস্থিত রয়েছেন বলে মন্তব্য করছেন। যা প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, অধ্যাপক আলমগীর হোসেন অত্যন্ত সজ্জন ও ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ও বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বশীলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু একটি মহল সর্বদা তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেই চলেছে। এটি সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত।
এ বিষয়ে অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন প্রগতিশীল আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকেছি। সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে আমার বিষয়ে সকল তথ্য ও উপাত্ত নিয়েই এ পদে আমাকে নিযুক্ত করেছে। যারা আমার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে তারা মূলত সরকারেরই বিরোধীতা করছে।”
প্রসঙ্গত, এর আগে ড. আলমগীর হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন ‘শাপলা ফোরাম’ ও শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সততার সাথে পালন করেছেন বলে খ্যাতি রয়েছে।