পাবনা সদর প্রতিনিধিঃ
পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সমালোচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খানের শহরস্থ বসতবাড়িসহ আশে পাশেল বেশ কিছু আবাসিক এলাকা প্রায় ২০ ঘন্টা ঘিরে রেখে বিশেষ নজর দারিতে রেখেছিলো জেলা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বৃহঃবার রাত থেকে পাবনা শহরের শালগাড়িয়া মল্লার খাদ্য গোদাম সংলগ্ন (রোকেয়া ভিলা) নামক ওই বসত বাড়ির সম্মুখে প্রধান ফটক আটকিয়ে দেয় পুলিশ প্রশাসন। শুধু বাড়ির সম্মুখে নয়া বাড়ির পেছন দিকেও পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করে পুলিশ। এই ঘটনায় চেয়ারম্যান সাঈদ এর বাড়ির কোন মানুষ বাসা থেকে বেড় হতে পারেনি। এই ঘটনায় এলাকায় সাধারন মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্কেময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
তবে এই বিষয়ে মুঠো ফোনে চেয়ারম্যান সাঈদ খানের সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন, ঘটনার আমি কিছুই জানিনা। কি কারনে কিসের জন্য আমার বাড়ি ঘিরে রেখে সেটি আমার জানা নেই। আমি রোজার মধ্যে ঈদের দুইদিন আগে আমার নিজের গ্রামের বাড়ি ভাড়ারা গ্রামে চলে আসি। এখনো আমি শহরের শালগাড়িয়া বসত বাড়িতে যাইনি। যদি পুলিশের কাছে কোন তথ্য থাকে তবে আমার বাসায় তল্লাশি করুক। আমাকে ডেকে পাঠাক আমি গিয়ে তাদের সামনে হাজির হচ্ছি। তবু আমার পরিবার ও ওই বাসাতে বসবাসকৃত ভাড়াটিয়াদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করেদিক পুলিশ। সেখানে বসবাকৃত অনেকেই চাকুরী করেন, ব্যবসা করেন। তারা আমার বাসাতে ভাড়া থাকেন। গতকাল আমার স্ত্রী শহরের বাড়িতে গেছে। আমার পরিবারকে গৃহবন্ধী করে রাখা হয়েছিলো। পুলিশ প্রশাসন পরিস্কার করে কিছু বলছেনা আমাকে। কি কারনে কি অপরাধে তারা আমার বাসায় পুলিশ প্রহারা বসিয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে পাবনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি শহরের একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা হয়েছে। ঘটনার পরে হত্যাকারীদের ফোন লোকেশন অনুসারে তাদের অবস্থান ওই এলাকার ওই স্থানে পাওয়া যাচ্ছিলো। আমরা সাঈদ চেয়ারম্যানের বসবাড়ি ঘিরে রাখিনি তার আশে পাশের সন্দেহভাজ বেশ কিছু আবাসিক এলাকা বিশেষ নজরদারিতেরেখে ছিলামা। পরে অনুসন্ধান শেষে ওই স্থান থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর রনি শেখ (ওরফে) ভাতিজা রনির হত্যা কান্ডের সাথে চেয়ারম্যান সাঈদ খানের কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না এই ধরনের কোন বিষয়না। এই হত্যা কান্ডের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা আমরা এখনো পাইনি। এই হত্যাকান্ডের সর্বশেষ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে পাশাপাশি সন্দেহভাজ আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ২০ মে রাত থেকে ২১ মে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই বাড়িটি পুলিশের বিশেষ নজরদারিতে রাখে। বাড়ির কাউকে বাহিরে আসতে বা অন্যকাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তবে রাতে ওই বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ পাহারা তুলে নেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ। এদিকে চাঞ্চল্যকর রনী শেখ হত্যা কান্ডের ঘটনায় নিহত রনীর শেখের ভাই বাদী হয়ে রাধানগর নারায়নপুর মহল্লার রেজাউল ইসলামের ছেলে মোঃ মিরাজুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়েছে বলে জানান পুলিশ। সন্ত্রাসী মিরাজুলের নামে পূর্বের আরো দুটি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।