আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গবন্ধু দেশকে পুনগঠনের জন্য প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়েছিলেন …….কালিয়াকৈরে মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু দেশকে পুনগঠনের জন্য
প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়েছিলেন
…….কালিয়াকৈরে মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক

 

কালিয়াকৈর প্রতিনিধি:

মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যখন দেশের দায়িত্বভার গ্রহন করেন তখন সারা বাংলাদেশে এক কোটি লোক ছিল না। তারা পাশ্ববর্তী দেশে চলে গিয়েছিল, কোটি কোটি বাড়িঘর ছিল ধ্বংসস্তুপ। এই গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে টাঙ্গাইল যেতে ১৮টি ব্রীজ ভাঙ্গা ছিল। ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম যেতে কখনো কখনো ১২/১৩ দিন সময় লাগত। তিনি সেই যুদ্ধবিধস্ত দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের একটি সংবিদান দিয়েছেন। দেশকে পুনগঠনের জন্য তিনি প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সেই অবস্থায়ও এই পর্যটন শিল্পকে তিনি অবহেলা করেননি। দেশকে সমৃদ্ধ করতে পর্যটন শিল্পকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। পার্শ্ববতী রাষ্ট্র সিঙ্গাপুর শুধু বিমান বন্দর ও নৌবন্দরের উপর একটা রাষ্ট্র চালায়। আর আমাদের তো রয়েছে উপার সম্ভাবনা। বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক স্থানের জন্য মানুষকে আকৃষ্ট করে তা আমরা এপর্যন্ত কাজে লাগাতে পারিনি।
তিনি শনিবার বিকেলে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় চন্দ্রা পিকনিক স্পট এন্ড হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ঢাকা রিসোর্টের চেয়ারম্যান এমারত হোসেন সোহাগের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) রাম চন্দ্র দাস, গাজীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম তরিকুল ইসলাম, কালিয়াকৈর উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ কাজী হাফিজুল আমীনসহ প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ৬ বছর, এরশাদ ১০ বছর, খালেদা জিয়া ১০ বছর, সামরিক শাসনসহ প্রায় ৩০ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। কিন্তু তারা এই শিল্পকে গুরুত্ব দেয়নি, পৃষ্ঠপোষণ করে নাই। বরং সেটাকে তারা উপেক্ষা করে গেছেন। আমরা মাত্র বঙ্গবন্ধুর সময় সাড়ে ৩ বছর আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় ১৬ বছর দেশ পরিচালনা করেছি। তিনি এ শিল্পের গুরুত্ব উপলব্ধি করেই অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এ শিল্প এই জাতিকে শুধু পরিচিতির দিক দিয়ে নয়, অর্থনৈতিক দিক দিয়েও এদেশকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে। এ শিল্পের মাধ্যমে আমাদের সুনাম যেমন মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়বে এবং একই সাথে আমাদের অর্থনৈতিক সম্মৃদ্ধিও বিকশিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মজিব নগর যে পযটন কেন্দ্র আছে, সেটা নাম মাত্র মুল্যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়কে দিয়ে দিয়েছে। আমরা ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সেটাকে গড়ে তোলতে চাই। মজিব নগর ইতিহাস সম্মৃদ্ধ একটা অত্যাধুনিক পর্যটনিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap