কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
পরপর ৫দফা বন্যায় কুড়িগ্রামে ক্ষয়ক্ষতির শিকার কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাষ করেছে সরিষা। দিগন্ত জোড়া মাঠ সেজেছে হলুদ সরিষা ফুলে। মৌ-মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে চারদিক। মাঠ ভরা এ হলুদ ফুলে নতুন করে স্বপ্ন বুণছে কৃষক। পাশাপাশি সরিষার সবুজ পাতা সবজি হয়ে জোগান দিচ্ছে কৃষকের ভরা প্লেটে। মিটছে পুষ্টির অভাব।
চলতি বছর টানা ৫দফা বন্যায় বিনস্ট হয় কৃষকের স্বপ্নের বীজতলা ও ফসল। হাল ছেড়ে দেয়া কৃষকরা বন্যা পরবর্তী সময়ে এসব ক্ষেতে লাগিয়েছে সরিষা। জেলার তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমর, সংকোষ, গঙ্গাধরসহ ১৬টি নদনদীর চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলে চাষ করা এসব সরিষা অনুকুল আবহাওয়া আর সঠিক পরিচর্যায় বেড়ে উঠছে দিগন্ত জুড়ে।
এখন মাঠ ভরে উঠেছে হলুদ ফুলের সমারোহে। দেখে মনে হবে এ যেন হুলুদ সমুদ্র। মৌ মৌ ঘ্রাণে আকৃষ্ট হয়ে আসছে মধু আহরণে মৌমাছিরা। এবার এসব সরিষা ক্ষেতে ১৯শ’টি মৌবক্স স্থাপন করা হয়েছে। এতে ফলনও বেড়ে যাবে। এছাড়াও আহরণ করা যাবে ৩হাজার লিটার মধু। ফলে ব্যাবসায়ীরা ছাড়াও লাভবান হবে কৃষক। চলতি বছর উন্নত জাতের বারী-১৪ এবং দেশী জাতের বীজে চাষ হয়েছে এবার।
ইরি চাষের আগে স্বল্প মেয়দি এ ফসল ফলিয়ে লাভবান হওয়ার প্রত্যাশা করছে চাষিরা। বিঘা প্রতি দু থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ করে ৪/৫পঁাচ মণ সরিষার ফলন পাওয়ার আশা কৃষকের। মণ প্রতি ১২শ থেকে ১৪শ টাকা বিক্রি করতে পারলে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন সরিষা চাষীরা।
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলের ১৩ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের বারী-১৪ এবং দেশি জাতের সরিষার চাষ হয়েছে। এসব জমিতে ১৯০০টি মৌবাক্স স্থাপন করা হয়েছে। এতে প্রায় ৩হাজার লিটার মধূ আহরণ করা যাবে। এরফলে আরো ১০/১৫ভাগ ফলন বৃদ্ধি পাবে বলে জানান মঞ্জুরুল হক, উপ-পরিচালক, কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।