আজ ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কালিয়াকৈরে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে শিক্ষককে পিটিয়ে আহত
কালিয়াকৈরে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে শিক্ষককে পিটিয়ে আহত

কালিয়াকৈরে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে শিক্ষককে পিটিয়ে আহত

ফজলুল হক, কালিয়াকৈর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মন্দিরে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে এক শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আহত হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার শাহবাজপুর এলাকার মৃত বাদল চন্দ্র দত্তের ছেলে অমল চন্দ্র দত্ত। তিনি শাহবাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার শাহবাজপুর এলাকায় শাহবাজপুর রাধা কালাচাঁদ নামে এক মন্দির রয়েছে।

গত ২০১৩ সালে ওই পরিচালনা করার জন্য একটি কমিটি করা হয়। মন্দিরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে ওই পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার ঘোষের সঙ্গে মন্দির প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা মৃত বাদল চন্দ্র দত্তের ছেলে অমল চন্দ্র দত্তের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

ওই দ্বন্দ্বের জেরে অমল চন্দ্র দত্তকে মন্দির পরিচালনা কমিটির কোষাধক্ষ পদ থেকে কৌশলে বাদ দিয়ে দেন সাধারন সম্পাদক উত্তম কুমার। পরে তিনি নিজের পছন্দের একজনকে কোষাধক্ষ পদে নিযুক্ত করেন।

এরপরেও থেমে থাকেননি উত্তম কুমার। গত শনিবার রাত ৯টার দিকে বার্ষিক কীর্ত্তন অষ্টানের বিষয়ে মন্দিরে আলোচনা সভায় বসে পরিচালনা কমিটি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

কিন্তু সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার ও তার ছেলে মিল্টন কুমার ঘোষসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন লোক দা, লাঠি, রড, শাবল নিয়ে ওই আলোচনা সভায় অতর্কিত হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমল চন্দ্র দত্তকে এলোপাথারিভারে মারধর করা হয়। এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে উত্তম কুমার ও তার ছেলে মিল্টন তাদের লোকজন নিয়ে চলে যায়।

পরে আশপাশের লোকজন রক্তাক্ত আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমল চন্দ্র দত্তের ছেলে দেবাশীষ দত্ত বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

আহত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমল চন্দ্র দত্ত জানান, আমার বাবা নিজের জমি দিয়ে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক উত্তম কুমার কৌশলে আমাকে কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে অন্যজনকে নেন।

ওইদিন বার্ষিক কীর্ত্তন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা সভা চলাকালে তিনি ও তার ছেলে মিল্টন তাদের সহযোগীরা লাঠি, রড, দা, শাবল নিয়ে হামলা চালায়।

এ সময় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি মারধর করে এবং মাথায় আঘাত করে। কালিয়াকৈর থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাকিম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap