গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বুধবার দিনব্যাপী সফিপুর বালুর মাঠ এলাকায় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় অবৈধ গ্যাস সংযোগ করায় ভ্রাম্যমান আদালত তাকে নগদ দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেন। পরে ওই এলাকার আর নয়টি ফ্লাট ও ভবনের মালিককে পাঁচ লাখ বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার সফিপুর বালুর মাঠ এলাকায় গাজীপুর জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিটনের বিলাস বহল বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নজরে আসলে বুধবার দিনব্যাপি গাজীপুর জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানার নেতৃত্বে উপজেলার তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা যায়, উপজেলার সফিপুর বালুর মাঠ এলাকায় দালাল ও গ্যাস অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে অবৈধভাবে বাসা ভাড়িতে গ্যাস লাইন সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দালাল ও অফিসের কর্মকর্তারা। পরে বাসার মালিক ফারুক,আব্দুল সালাম, সুলতানা বেগম, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব রহমান, আব্দুল খালেকসহ দশটি ফ্লাট থেকে নগদ ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় উপস্থিত ছিলেন, তিতাস গ্যাস চন্দ্রা জোনাল অফিসের ব্যবস্থাপক পরিচালক মামুনুর রহমান,এহসানুল খান সুজন, মো. আমজাদ হোসেন সহকারী ব্যবস্থাপকসহ তিতাস গ্যাস কর্মকর্তা ও আনসার সদস্যরা।
গাজীপুর জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিটন জানান,আমি মতি নামে এক লোকের কাছ থেকে পরিত্যাক্ত গ্যাস লাইন নিয়ে ব্যবহার করে আসছি। ওই লাইনে বকেয়া ছিল এক লাখ বাহাত্তর হাজার টাকা আমি সব পরিশোধ করেছি। প্রতি মাসেই আমি বিল পরিশোধ করেছি। আমি কোন অবৈধ গ্যাস লাইন ব্যবহার করিনি।
গাজীপুর জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা জানান, অবৈধভাবে যারা গ্যাস সংযোগ দিয়ে ব্যবহার করে আসছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।
আরো পড়তে ক্লিক করুন >> কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ৩ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহন চলছে