কেশবপুর যশোর সংবাদদাতা
যশোরের কেশবপুরে পতার পৈর্ত্রিক জমি ভাগ বন্টন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল তারিই ধারাবাহিকতা ও আদালতে মামলার জের ধরে কেশবপুরে আপন ছোট ভাইয়ের শস্য ক্ষেতে ট্রাক্টরদিয়ে ফসল নষ্ট ও কলা বাগান কেটে দিয়ে প্রায় ৯০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ছোট ভাই বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ বটোয়ারা ও আদালতে মামলার জের ধরে উপজেলার বরনডালী গ্রামের মৃত তোফাজ্জেল সরদারের ছেলে মহিদুল ইসলামের সাথে তার আপন বড় ভাই নজরুল ও বোন রেহেনা খাতুনের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার দুপুরে বড় ভাই নজরুল, বোন রেহেনা খাতুন, রেহেনার স্বামী ওমর আলী, দুই ছেলে ইমরান ও তুহিন মিলে ছোট ভাই মহিদুলের বরনডালী গ্রামের জামতলা বিলের ডাঙ্গা জমিতে লাগানো ১০ কাঠা পরিমান একটি কলার বাগান কেটে সাবাড় করে দেয় ও পাশ্ববর্তি একই পরিমাপের একটি শস্য ক্ষেত ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে তা বিনষ্ট করে দেয়। অভিযোগে কলা বাগান ও শস্য ক্ষেতের ক্ষয় ক্ষতির পরিমান উল্লেখ করা হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার টাকা। শুধু কলাবাগান ও শস্য ক্ষেত বিনষ্ট করে খ্যান্ত হয়নি উল্লেখিত ব্যক্তিরা। রবিবার আবারো তারা মহিদুলের বসতবাড়ীর সামনে দক্ষীনপার্শের তার আরেকটি কলা চাষের বাগানের বেড়া ভাংচুর করে ক্ষয়-ক্ষতির চেষ্ঠা করলে তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে তারা মহিদুলের স্ত্রী সালমা খাতুন ও মেয়ে মিতা খাতুনকে মারপিট ও খুন জখমের হুমকী দেয়। এই ঘটনায় মহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে উল্লেখিত ৬ ব্যক্তির নামে সোমবার কেশবপুর থানায় একটি অভিয়োগ করেছে।
অভিযোগের বাদী মহিদুল ইসলাম এই প্রতিনিধিকে জানান, তার পৈত্রিক ভাগের দখলীয় সম্পত্তির উপর বোন রেহেনা জোর করে ঘর নির্মানের চেষ্টা করলে আমি তাতে বাঁধা দেয়। এমনকি বোনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করি। তারই জের ধরে বোন ও বড় ভাই এক জোট হয়ে সর্বনাশের খেলা শুরু করেছে। বর্তমানে তিনি তার পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে।
এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জসিম উদ্দীন জানান, অভিযোগের সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ্যা গ্রহন করা হবে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম ও রেহেনা খাতুনর কাছে জানতে চাইলে বলেন, কলাগাছ ও শস্য ক্ষেত নষ্টের ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্য অভিযোগ করা হয়েছে।