কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫ গ্রামের প্রায় সোয়া ৩ হাজার মানুষ বসবাস করেন পার্শ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের মানচিত্রের অভ্যন্তরে।
এ যেন আরেক ছিটমহল। বৃটিশ আমল থেকে ইউনিয়ন পরিবর্তনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ মানুষগুলির দাবি তারা যে ইউনিয়নের ভিতরে রয়েছে সেখানকার বাসিন্দা হতে
বৃটিশ আমলে শিরিষ চন্দ্র ও সতিশ চন্দ্র নামে দুই মহারাজার জোতদারী ও খাজনা নেয়ার এলাকাভিত্তিক অবস্থানের কারণে তাদের রেখে যাওয়া ভাগ করা সীমানা জটিলতায় ভোগান্তিতে পরেছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫ গ্রামের প্রায় সোয়া ৩ হাজার মানুষ।
তারা সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও তাদের গ্রামগুলির অবস্থান পাশ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়ন ম্যাপের ভিতরে বিভিন্ন স্থানে। গ্রামগুলো থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ। গ্রামগুলো হচ্ছে কৈকুড়ি, বড়ভিটা, দিগদাড়ি, মরা দিগদাড়ি ও টেংনার ভিটা।
এসব গ্রামে রয়েছে ৬শতাধিক খানা এবং ভোটার সংখ্যা ১হাজার ৮শ’। এসব এলাকার মানুষের লেখাপাড়া, বিয়ে-শাদী, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিচার-সালিশ, বন্যায় আশ্রয় গ্রহন সবকিছুই করতে হয় ভিতরবন্দে।
কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে তাদের ইউনিয়ন ভোগডাঙ্গা। ফলে সামাজিক বেষ্টনির সকল ধরণের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত বেশিরভাগ মানুষ। মাঝখানে বিলের ছড়া দিয়ে বিচ্ছিন্ন এ এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল দশার কারণে রোগী পরিবহনসহ যাতায়াত সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে তাদেরকে।
দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত এসব গ্রামের মানুষ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিবর্তন করে বর্তমান অবস্থান নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দের বাসিন্দা হতে চান।
মো: সাইদুর ইসলাম, চেয়ারম্যান, ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ, কুড়িগ্রাম সদর, কুড়িগ্রাম।
এ জনপ্রতিনিধি জানালেন আপনাদের কে কী বলেছে জানিনা। তবে ওই এলাকার অনেক জ্ঞানী গুণি মানুষ আছে যারা আমার ইউনিয়নে থাকতে চায়। এখনো অনেকে মোবাইল করে আমাকে জানায় ভিতরবন্দ ইউনিয়নে তারা থাকবে না। আমারা ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নে দেশ স্বাধীনের আগে থেকে আছি, এখনো এই ইউনিয়নে থাকতে চাই।
অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন, পাবলিক প্রসিকিউটর, কুড়িগ্রাম।ভৌগলিক অবকাঠামো জনগণের কল্যাণ্যের জন্য। এটা একটা স্বাধীন দেশের মধ্যে ছিটমহলের মত অস্থিত্ব। তারা যে উপজেলায় রয়েছে সেখানে এডজাস্ট করে স্থানীয় কতর্ৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করা উচিত।
মো. পনির উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় সংসদ সদস্য, কুড়িগ্রাম-২ আসন, কুড়িগ্রাম।মানুষগুলোর খুবই দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে।
জটিলতা কাটাতে স্থানীয় জনগন ও জনপ্রতিনিধিদের সদিচ্ছার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।