চরফ্যাসন( ভোলা) প্রতিনিধ:
চরফ্যাসনে বিয়ের প্রলোভনে জেলে কন্যা ধর্ষণের অভিযোগে
মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভিক্টিম ওই যুবতী
বাদী হয়ে এক মুদি ব্যবসায়ী জামালসহ ধর্ষণের সহযোগি
হিসেবে তার বাবা ফজলুর রহমান ও মা পারভীন বেগমকে আসামী
করে মামলাটি দায়ের করেন।
গত শুক্রবার রাতে আব্দুল্লাহপুর
ইউনিয়নের ভিক্টিমের বসত ঘরে ধর্ষণের এঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত
ধর্ষক জামাল জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ফজলুর রহমানের
ছেলে।
ভিক্টিম এজাহারে দাবী করেন,যুবতীর বাড়ির পার্শ্ববতী স্থানে
জামালের মুদি দোকান। ওই দোকানে কেনাকাটার সুত্রেধরে জামালের
সাথে তার প্রেম প্রণয় গড়ে উঠে।
প্রেমের সুত্রধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষক জামাল তার সাথে একধিকবার শারিরিক
সম্পর্ক গড়ে তুলেন। বিয়ের জন্য চাপ দিলে জামাল তালবাহানা শুরু
করে। শুক্রবার রাতে তার বাবা বাড়িতে ছিলেন না। যুবতী ও তার মা
বাড়িতে ছিলেন। ওই সময় ফের জামাল তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়
এবং তার বাড়িতে এসে জোরপুর্বক তাকে ধর্ষন করেন। তার ডাক
চিৎকারে ধর্ষক জামাল পালিয়ে যায়।
এ বিষয়টি জামালের পরিবারকে জানালে তারা বিষয়টি এড়িযে যান। এবং জামালের
পরিবার তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন। এঘটনায় তিনি বাদী
হয়ে জামালের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ এনে এবং তারা বাবা
মাকে সহযোগি হিসেবে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় মামালা
দায়ের করেন।
চরফ্যাসন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া জানান,
জেলে কন্যা ধর্ষণের ঘটনায় ভিক্টিম বাদী হয়ে মামলা দায়ের
করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।