কুড়িগ্রাম থেকে :
দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস তেল শূন্য হয়ে পড়ে আছে চিলমারীর ভাসমান ডিপো। অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে থাকলেও নেই কর্তৃপক্ষের নজর।
ব্যাপক চাহিদা থাকলেও দীর্ঘদিন থেকে তেল সরবরাহ বন্ধ থাকায় শত শত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে কাটছে মানবেতর জীবন। এদিকে তেল সরবরাহ বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের সাথে বন্যা ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরাও পড়েছে বিপাকে।
এমনকি অজ্ঞাত কারণে ট্যাংক লড়িতে তেল দেয়া বন্ধ থাকায় প্রায় ৮ মাস থেকে বেকার হয়ে কষ্টের সময় কাটচ্ছেন লড়ি শ্রমিকরা। ডিপো স্থায়ীকরণ, নিয়মিত তেল সরবরাহসহ সকল প্রকার সমস্যার সমাধান চান এলাকাবাসী।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, দিনাজপুরসহ কয়েকটি জেলার জালানি তেলের চাহিদা মেটাতে ১৯৮৯ সালে তিনটি কোম্পানি চিলমারীতে স্থাপন করেন দুটি ভাসমান ডিপো।
স্থাপনের কিছুদিন পর মেরামতের অজুহাতে পদ্মা ওয়েল কো. ডল. তাদের বার্জ সরিয়ে নেয়। তবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লি. ও যমুনা অয়েল কো. ডল. এর ভাসমান দুটি ডিপো নিয়মিত তেল সরবরাহ করে আসছিল।
সরবরাহের সাথে তাল মিলিয়ে তেলের চাহিদাও বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ডিপো থেকে তা পুরণ করা চেষ্টা করে কোম্পানি। কিন্তু কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা নিজেদের লাভের আশায় ভিন্নভাবে নেয় অনিয়মের আশ্রয়। শুধু তাই নয় ডিপো দুটি থেকে পাশবর্তী জেলা লালমনিরহাট, দিনাজপুর, রংপুরের বিভিন্ন স্থানেও ট্যাংক লড়ির মাধ্যমে তেল সরবরাহ করা হলেও সেটিও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ছত্রছায়ায় কৌশলে বন্ধ করে দেয় ট্যাংক লড়ি।
ট্যাংক লড়ি বন্ধের হওয়ায় কয়েক বছর থেকে প্রায় দুই শতাধিক লড়ি শ্রমিক বেকার সময় কাটাচ্ছে। ট্যাংক লড়ি বন্ধ হওয়ায় পর থেকে কুড়িগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় শ্রমিকদের সাথে সাথে ডিলারসহ বিপাকে পড়ে কৃষক। ফলে তেলের চাহিদা মেটাতে উক্ত এলাকার ডিলারগণ বাঘাবাড়ি, পার্বতীপুরসহ দূর থেকে তেল নিয়ে আসলেও মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রায় সময় তেল শূন্য হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। এদিকে ট্যাংকলড়ি বন্ধ হওয়ায় কুড়িগ্রামের চিলমারী, রৌমারী, রজিবপুরসহ জামালপুর, গাইবান্ধার কিছু এলাকায় ডিপো দুটি থেকে তেল সরবরাহ করা হলেও দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস থেকে তেল সরবরাহ বন্ধ থাকায় জ্বালানী তেলের চাহিদা পূরন হচ্ছেনা এবং বাড়ছে কৃষকদের মাঝে হতাশ।
এদিকে তেলের চাহিদা মেটাতে ডিলারগণ অতিরিক্ত ব্যয়ে দূরদূরান্ত থেকে তেল আনলেও এদিকে সময় মতো তেল পারছেনা ক্রেতা অন্যদিকে বেড়েছে মূল্য। সেই সাথে শতশত শ্রমিক হয়ে পড়েছে বেকার করছে মানবেতর জীবন যাপন। কাজ বন্ধ রোজগার বন্ধ নেই ঘরে খাবার উলেখ করে শ্রমিক খয়বার, সুলতান জানান,প্রায় ৫ মাস কাজ থাকে বাকি সময় কাজ না থাকায় অনেকে এলাকা ছেড়ে বাহিরে গেলেও অনেকে বেকার সময় কাটান আর এই ডিপো দুটির উপর অনেকের র“জি হতো কিন্তু সেটিও অচল হওয়ায় কষ্ট বাড়ছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডবিউ এম রায়হান শাহ বলেন ডিপো স্থায়ীকরণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে আর তেল সরবরাহ বন্ধ আছে বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবেন বলে তিনি জানান।