বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হওয়ার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী, বার কাউন্সিল ও আপিল বিভাগের প্রতি মানবিক দৃষ্টি কামনা করে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সামনে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী শিক্ষানবিশ আইনজীবী’ ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন।
তারা বলেন, চার বছর আইন বিষয়ে অধ্যায়ন শেষে সিনিয়র আইনজীবীর সঙ্গে ছয় মাস সব নিয়ম অনুসরণ করে প্যাকটিসের পরও কেন পরীক্ষা দিতে পারব না। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি বাণিজ্য এবং খামখেয়ালিকে দায়ী করে বার কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রদান ও পরীক্ষার সুযোগ দেয়ার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখার দাবি জানান তারা।
তারা বলেন, আমরা এলএলবি অনার্স সম্পন্ন করে বার কাউন্সিলের নিয়মকানুন মেনে জেলা জজ আদালতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করছি। আমাদের সার্বিক পরিস্থিতি ও অপূরণীয় ক্ষতির কথা বিবেচনায় নিয়ে ২০১৯ সালের আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তারা আরও বলেন, অধিক শিক্ষার্থী ভর্তি করে ভুল করলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করেছে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড না দিয়ে শাস্তি দেয়া ন্যায়বিচার পরিপন্থী। যদি বার কাউন্সিল ও অন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে না দেখে তাহলে হতাশাগ্রস্ত হওয়া ছাড়া আমাদের কোনো পথ থাকবে না।
মানববন্ধনে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ল’ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট গাজী সাদেকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আকরাম চৌধুরীসহ শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, স্নাতক পাসসহ বার কাউন্সিলের সব নিয়ম আমরা পূর্ণ করেছি। অথচ এতদিনের পালিত স্বপ্ন পূরণে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ না পেয়ে আমরা হাইকোর্টে রিট করি এবং সেটি আপিলে শুনানির জন্য রয়েছে। অন্যদিকে বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় দুই বা তিন বছর পরপর অনুষ্ঠিত হওয়ায় আগামী ২২ নভেম্বরের পরীক্ষায় যদি অংশগ্রহণ করতে না পারি তাহলে এ দুই হাজার শিক্ষার্থী অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়বে।’
অবিলম্বে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আইন বিভাগে ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে খামখেয়ালিপনার দায় শিক্ষার্থীদের ওপর না চাপিয়ে ভুক্তভোগী দুই হাজার শিক্ষার্থীকে বার কাউন্সিলের পরীক্ষার সুযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ, বার কাউন্সিলের সুবিবেচনা ও আপিল বিভাগে ন্যায়বিচার চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা।