নিউজ ডেস্ক
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়া সরকারি চাল বিতরণের অভিযোগে মামলা হওয়ায় তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল।
তিনি জানান, ত্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়া সাবেক সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
বর্তমানে তিনি সদস্য। তাছাড়া তিনি নৌকার মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। এ অবস্থায় ত্রাণ এবং ভিজিডি নিয়ে তিনি মারাত্মক অনিয়ম করেছেন। তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিতও হয়েছে। তাই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকেও বহিষ্কার করা হবে। এখন পরিস্থিতি বিবেচনায় সামর্থ অনুযায়ী নিজেদের পকেট থেকে দেয়ার সময়। এখন কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না। রাত পৌনে ১১টায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আদিল হোসেন জজ মিয়া স্বাক্ষরিত বরখাস্তের চিঠি জেলায় পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, নূরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়া সরকারি চাল বিতরণে চরম অনিয়ম করেছেন। শুক্রবার রাতে তার হেফাজত থেকে চলমান করোনাভাইরাস সংকটে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এক হাজার ৭শ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে। আরও ৩শ কেজি চালের হদিস পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও টিপসই নিলেও ভিজিডি কর্মসূচির চাল না দিয়ে তা তসরুফ করে নেয়ার অভিযোগেরও সত্যতা পাওয়া গেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফত রানার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এসব চাল জব্দ করে এবং অভিযোগের সত্যতা পায়। অভিযানের খবর পেয়ে গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যান ইউপি চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়া। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।