সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন এক অসহায় রিকশাচালক বাবার বাক-প্রতিবন্ধী ছেলে নিখোঁজের পর তিন দিনেও সন্ধান মিলেনি। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পরিবারের সবাই পাগল প্রায়।
মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়া থানায় ১৬ বছরের মোঃ তুহিন নামের এই বাক প্রতিবন্ধী ছেলেকে খুঁজে পেতেসাধারণ ডায়েরী করেন নিখোঁজের বাবা মোঃ সবুর আলম। এরআগে গত ১১ই ফেব্রুয়ারী (শনিবার) সকাল ১০টায় আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজিরচট শেরআলী মার্কেট এলাকা থেকে সে নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজ তুহিন (১৬) তার রিকশাচালক বাবা সবুর আলমের সাথে ঢাকা জেলা আশুলিয়া থানার দক্ষিণ গাজিরচট শেরআলী মার্কেট এলাকায় আবুল কাশেমের বাড়ীতে ভাড়া থাকতো । তাদের গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার উত্তর তিতপাড়া গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সবুর আলমের চার সন্তানের মধ্যে একমাত্র ছেলে তুহিন। সংসারের অভাব আর অনাটনে ছেলে-মেয়েদের মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দিতে, পরিবার নিয়ে ঢাকার আশুলিয়ার ভাড়া বাসায় থেকে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ১১ই ফেব্রুয়ারী (শনিবার) সকালে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি বাক প্রতিবন্ধী ছেলে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে নিরুপায় পরিবারের মাইকিং করা ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিন দিনেও ছেলেকে ফিরে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন অসহায় রিকশাচালক সবুর। নিখোঁজের সময় তুহিনের পড়নে ছিলো শর্ট প্যান্ট, সোয়েটার ও লাল রংয়ের গেঞ্জি। শারীরিক গড়ন চুল: টাক, চামড়ার রং: শ্যামলা, উচ্চতা: ৫ ফুট ২ ইঞ্চি এবং ওজন ২০ কেজি।
নিখোঁজের বাবা সবুর আলম বলেন, আমার ছেলে কথা বলতে পারে না, এমনকি কারও কাছে খাবারটুকু পর্যন্ত চেয়ে নিতে পারে না। সে ইশারা ইঙ্গিতে উঃ আঃ শব্দ করে মনের ভাব প্রকাশ করে। অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত থানায় জিডি করেছি। কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি যদি আমার ছেলের সন্ধান পান তাহলে এই ০১৭৭৯৫৪০৫৯২, ০১৭২৬২৩২১৩৯ নাম্বারে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করছি।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসলাম আলী বলেন, ‘ছেলের বাবা সোমবার রাতে থানায় জিডি করেছে, তাকে আজকের (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় থানায় আসতে বইলেন, তার কাছ থেকে কিছু তথ্য নিয়ে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাবো’।