সাভার প্রতিনিধি
সাভারে ইতিহাস পরিবহনের একটি বাসে, চলন্ত অবস্থায় রেডিয়েটরে পানি দেয়ার সময়, অন্তত ৬ যাত্রী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে উদ্ধার করে নিয়ে যায় সাধারণ জনগণ। হেল্পার ও ড্রাইভারের গাফিলতির কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাহাঙ্গীরনগর সিএন্ডবি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ গাড়িটিকে আটক করেলেও হেল্পার ও ড্রাইভার পলাতক রয়েছে ।
ভুক্তভোগী অহত এক যাত্রীর স্বামী মামুন জানান, আমার স্ত্রীর পা থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঝলসে গিয়েছে। অবস্থা খুবই খারাপ, গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ড্রাইভার এবং হেলপারের অবহেলাই এ ঘটনা ঘটেছে। এর সৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
ওপর দুই যাত্রীর অভিভাবক আব্দুল্লাহ বলেন, আমার স্ত্রী ছেলে সহ আমার আত্মীয়রা হেমায়েতপুর থেকে স্মৃতিসৌধ দেখার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। বাস জাহাঙ্গীরনগর এলাকায় পৌঁছলে চলন্ত বাসে রেডিয়েটরে পানি ঢালতে শুরু করে হেলপার এবং ড্রাইভার। এ সময় গরম পানি ও তেল ছিটকে বেরিয়ে আসলে রেডিয়টরের মুখ যাত্রীদের দিকে তাক করে হেল্পার। এতে আমার স্ত্রী ও ছেলে সহ অন্তত ৬ জন যাত্রী মারাত্মক ভাবে আহত হয়। আমার স্ত্রী ও সন্তানের শরীরের প্রায় ১০% পুড়ে গিয়েছে। আমরা এখন গণসাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। চিকিৎসা নেয়া শেষে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।
ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের ৪০ তম ব্যাচের স্টুডেন্ট হানিফ । তিনি আজকের দর্পণকে বলেন। বাসটির পিছনে আমি মোটরসাইকেলে ছিলাম । হঠাৎ চেঁচামেচি ও চিৎকারের শব্দ শুনে গিয়ে দেখি বেশকিছু যাত্রী গরম রেডিয়টরের পানিতে ঝলসে গিয়েছে। পরে তাড়াতাড়ি করে ভ্যান রিক্সা ডেকে তাদেরকে গণসংস্থান হাসপাতালে পাঠানোর ব্যাবস্থা করি। চলন্ত গাড়িতে ড্রাইভারের কাছে থাকা বোতলের পানি রেডিয়টরে ঢালতে গেলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। চলন্ত বাসে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করে ড্রাইভার ও হেলপার অদক্ষ।
সাভার গণসাস্থ্য হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ইমার্জেন্সিতে দায়িত্বরত ডা: আকাশ বাংলা পেপারকে বলেন, আমরা তিনজন পেশেন্টকে চিকিৎসা দিয়েছ। এর মধ্যে একজন শিশু বাচ্চা ও দুজন দুজন মহিলা ছিলেন । একজনের শরীরের প্রায় ১০% ও আরেক জনের ৫% পুরে যায় । তাদেরকে ড্রেসিং ও চিকিৎসা দেয়া হয়।
সাভার হাইওয়ে থানার (ওসি) আবু হাসান বলেন ‘আমরা গাড়িটিকে আটক করেছি, আর আমরা একটা মেডিকেল সার্টিফিকেটের জন্য এনাম মেডিকেলে আসছি, আর ওদিকে রোগীর লোকজনদের পাঠিয়ে দিয়েছি রোগীদের দেখার জন্য। হেল্পার এবং ড্রাইভারকে পাওয়া যায়নি ঘটনাস্থলে’।