আজ ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ সম্মেলন

সুজানগরে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সোহেল রানা, পাবনা প্রতিনিধি:

পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিক হাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্বাস আলী মল্লিকের সমর্থকদের ওপর গুলিবর্ষণ ও নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিকেলে মানিক হাট ইউনিয়নের বনকোলা বাজারে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন,আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্বাস আলী মল্লিক।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,আমি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে নামার পর থেকেই আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিউল ইসলাম ও তার সমর্থক কর্মীরা আমাকে তথা আমার কর্মী সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় বিভিন্ন ভাবে বাধা সৃষ্টি করছেন ও আমাকে নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিউল ইসলাম ভোট কেন্দ্র জবর দখল করে ভোট কেটে নিয়ে জয়যুক্ত হওয়ার কথাও লোকমুখে বলে বেড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে সে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে প্রতিনিয়ত সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছেন।

সর্বশেষ গত রোববার দিনগত রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান উজ্জ্বলের নেতৃত্বে চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিউল ইসলামের ছোট ভাই মুরাদ, উজ্জ্বল, ভাতিজা গাজী,রিকু ও আলী সহ শতাধিক সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী হোন্ডা ও মাইক্রোবাস নিয়ে আমার বনকোলা বাজারস্থ আনারসের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর এবং আমার সমর্থকদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে আমার সমর্থক বনকোলা গ্রামের মোতালেব হোসেন, ফজলুল হক ফজলু, সাগর হোসেন, বিপুল ও সাগর হোসেন গুরুতর আহত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। সুষ্ঠু ভোট হলে ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ আমাকে ভোট দিবে। কিন্তু বর্তমান সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আমার ধারণা হচ্ছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিউল ইসলাম তার পরাজয় নিশ্চিত ভেবে ভোট ডাকাতি করে নির্বাচনে জয়লাভ করার পাঁয়তারা করছেন।আমি অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সকল পর্যায়ের প্রশাসনের প্রতি সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় উপ কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান উজ্জ্বল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, গুলিবর্ষণ ও ভাঙচুরের সময় আমি অন্য ইউনিয়নে নৌকার মিটিং এ ছিলাম। পরে জানতে পেরেছি মানিক হাট ইউনিয়নে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিউল ইসলাম বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন আমার নৌকা প্রতীকের মিছিলের উপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে নৌকা পুড়িয়ে দিয়েছে।

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap