কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানে পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তা নদী রুদ্ররুপ ধারণ করেছে। গত ৪/৫ দিনে তিস্তার ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে শত শত বিঘা আবাদি জমি, গাছপালাসহ অর্ধ শতাধিক বাড়ীঘর। ভেঙে গেছে মুল সড়কের ৪০ মিটার। প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ভাঙন মোকাবেলায় নানান প্রতিশ্রতি দেয়া হলেও চোখের সামনে বাড়িঘর ভেঙ্গে যেতে দেখে ক্ষুব্ধ তিস্তা পাড়ের মানুষ।
গত সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রাম জেলায় এবং উজানে ভারতীয় অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলাসহ বেশ কয়েকটি নদী-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এরফলে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।
বিশেষ করে তিস্তা নদীর পানি হু-হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে। হঠাৎ করে পানিবৃদ্ধি এবং তীব্র স্রোতে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা এবং তৎসংলগ্ন গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের কাসিমবাজার এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গত ৪/৫ দিনের ভাঙনে এই এলাকায় বিলিন হয়েছে অর্ধ শতাধিকেরও অধিক বসত বাড়ি। বিলিন হয়েছে পুকুর, ফসলী জমিসহ সুপারীর বাগান। হুমকীর মূখে রয়েছে ঐতিহাসিক কাসিমবাজার হাটসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং বৃটিশ আমলে নির্মিত কাসিমবাজার আলিয়া মাদ্রাসা। ঠাঁই পাচ্ছে না আশ্রয়ের। তীব্র ভাঙনে বসতবাড়ী বিলিন হয়ে গেলেও জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কার্যকর কোন উদ্যোগ গ্রহন না করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ এলাকার ভাঙন কবলিতরা।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাসিমবাজার এলাকায় অধিক ভাঙন দেখা দিয়েছে স্বীকার করে এই কর্মকর্তা জানান, এরই মধ্যে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করে অস্থায়ীভাবে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব দিয়ে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করছি এ সপ্তাহের মধ্যে আমরা কাজটা শুরু করবো।
পাশাপাশি স্থায়ী আমরা স্থায়ী কাজ করার জন্য প্রকল্প শো করেছি। প্রস্তাবনা পেশ করেছি। যা বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে এলাকার লোকজনের ভোগান্তি কমবে।