কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে এক মাসে অর্ধ শতাধিক বসতবাড়ী, গাছপালা, আবাদি জমিসহ হুমকিতে পরেছে ঐতিহ্যবাহী মোল্লারহাট। ভাঙন কবলিতরা পাচ্ছে না মাথা গোঁজার ঠাঁই। ভাঙন রোধ করা না গেলে যে কোন সময় হাটটি বিলিন হবার আশংকায় স্থানীয়রা। ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার প্রত্যন্ত বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে ব্রহ্মপূত্র নদের করাল গ্রাসে বিলিন হয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। গত পাঁচ বছরে মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে ৬নং ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের মানুষ এখন ৪নং ও ৭নং ওয়ার্ডে আশ্রয় নিয়েছে। চলতি বছর নদী ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে দুটি গ্রামের ৭ শতাধিক বতসবাড়ী। জানুয়ারি মাসে ভেঙে গেছে ৬০টির মত বাড়ী।
ভাঙনের মুখে রয়েছে বসতবাড়ী, গাছপালাসহ আবাদিজমি। গৃহহীন পরিবারগুলো কোথায় আশ্রয় নিবে এই দুশ্চিন্তায় কাটছে তাদের দিনক্ষণ। কেউ কেউ জায়গা না পেয়ে নদীর তীরে ছাপড়ায় মানবেতরভাবে দিন কাটাচ্ছে।
এছাড়াও এই অঞ্চলের মানুষের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী মোল্লারহাট রয়েছে ভাঙনের মুখে। চরাঞ্চলের মানুষের কেনাবেচার জন্য প্রয়োজনীয় এই হাটটি রক্ষায় মানববন্ধনসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি চালাচালি করেও প্রতিকার মিলছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ৫শতাধিক জিও ব্যাগ দেয়া হলেও তা কাজে আসছে না। জিও ব্যাগ নয় স্থায়ী ভাঙন রোধে সিসি ব্লক ফেলার দাবী এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ভাঙন নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড স্থায়ী কাজের কথা বললেও তা কখনো আলোর মুখ দেখে না। ফলে ভাঙন কবলিতদের কান্না পৌঁছায় না সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।