বিশেষ প্রতিনিধি:
ঢাকা জেলাধীন ধামরাই পৌরসভায় অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজয়ী ও পরাজিত কাউন্সিলরদের কর্মী সমর্থকদের মাঝে, ব্যাপক সংঘর্ষ ও ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষের এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১ টায়, ধামরাইয়ের বউবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ধামরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন।
আহতদের একজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অন্যদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। গুরুতর আহত সোহেল, ধামরাইয়ের ছয়বাড়িয়া এলাকার মহাদ্দিস হোসেনের ছেলে। তার হাতের হাড় ভেঙ্গে গেছে। আহত সোহেল বর্তমানে সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে। বাকিদের ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা যায়।
ওয়ার্ডের বিজয়ী কাউন্সিলর আবু সাঈদ বলেন, ‘নির্বাচনের শুরু থেকে আরফানের লোকজন আমার লোকদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায় ও হুমকি প্রদান করে। আমার কর্মীরা বউবাজার এলাকার কর্মীদের সাথে বিজয়ী সাক্ষাতের জন্য গেলে আরফানের লোকজন সোবহান মেম্বরের বাসায় নিয়ে তাদের মারধর করে। পরে তাদের মধ্যে তিনজনকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে ধামরাই থানা পুলিশের সহযোগিতায় আমার কর্মীদের উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করাই। এদের মধ্যে একজনের হাড়গোড় ভেঙ্গে যাওয়ায় তাকে সাভারের এনাম মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। তার চিকিৎসা চলমান রয়েছে।’
এদিকে পাল্টা অভিযোগ করে স্থানীয় আজগর আলী বলেন, আমরা এখানকার লোকজন আরফানের নির্বাচন করেছি এটা ভেবে আবু সাইদের লোকজন এসে বউবাজার এলাকার কয়েকটি দোকান ও বাড়িঘর ভাঙ্গচুর করেন। স্থানীয় কিছু লোকজনের ইন্ধনে তারা এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই হামলায় শিশু ও নারী কেউ রেহাই পায় নি বলে দাবি করেন তিনি।
ধামরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন জানান, ওই এলাকায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে, বিষয়টি সত্য। অভিযোগ দিলে এ ঘটনায় মামলা দায়ের হবে।