কুড়িগ্রামে দু’টি স্থলবন্দরে অনুমোদনহীনভাবেই চলছে ক্রাশার মেশিন দিয়ে পাথর ভাঙ্গার কাজ। এতে সরকার রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি বিপর্যয় ঘটছে পরিবেশের।
প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অবৈধ ক্রাশার মেশিন চালানো হলেও নেয়া হয়নি কোন আইনী পদক্ষেপ। কুড়িগ্রামের বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দর ২০১৪ সালে দেশের ১৮তম স্থলবন্দর হিসেবে চালু হয় এটি।
চালুর পর থেকে প্রধান আমদানি পণ্য হিসেবে আসছে পাথর। আর এসব পাথর ভাঙ্গতে গড়ে উঠেছে শতাধিক ইয়ার্ড বা কোয়ারি। অবৈধভাবে এসব কোয়ারিতে স্থাপন করা হয়েছে ২শতাধিকেরও বেশি ক্রাশার মেশিন।
কোয়রিগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে অনুমোদনহীন পাথর ভাঙ্গা ক্রাশার মেশিন। বিধি মোতাবেক পাথর ভাঙ্গার ক্রাশার মেশিন স্থাপনে লাগে পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এসব অবৈধ ক্রাশার মেশিন।
স্থলবন্দর এবং রৌমারী শুল্ক স্থলবন্দরের স্থাপন করা ক্রাশার মেশিনের কোনটিরও নাই লাইসেন্স। অনুমোদনহীনভাবে চাহিদার তুলনায় ক্রাশার মেশিন স্থাপন করা হয়েছে বেশি। এসব অধিকাংশ মেশিনেরই নেই ধোঁয়া প্রতিরোধ সিলিন্ডার।
মেশিনের কালো ধোঁয়া এবং পাথরেরগুড়ো বাতাসে মিশে মারাত্বকভাবে দূষিত করছে পরিবেশের। সৃষ্টি হচ্ছে বিকট শব্দ দুষণও। এমন দূষণে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে বন্দরের বাসিন্দারা।
আশে পাশের জমিতে কমে গেছে উৎপাদন। ফলজ গাছে ধরছে না ফল। এদিকে সুরক্ষা পোশাক না থাকায় পাথর ভাঙ্গা শ্রমিকেরা ভুগছে নানা জটিল রোগে। এসব ক্রাশার মেশিনের পাথর ভাঙ্গার বিকট শব্দে আশেপাশে বসবাসকারীদে ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন-যাপন।
মেশিন পরিচালনাকারী এবং পাথর ভাঙ্গা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা পোশাক থাকার নিয়ম থাকলেও জানেন না তারা। অরক্ষিতভাবে কাজ করে যাওয়ায় মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে পাথর ভাঙ্গা এসব শ্রমিক। লাইসেন্স বা অনুমোদন নিয়ে এসব মেশিন স্থাপন এবং শ্রমিকদের সুরক্ষা পোশাকের কথা জানেনা মালিকেরা।
রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছ থেকে জেলার দু’টি স্থলবন্দরের যেসব ক্রাশার মেশিন ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলোর কোনটিরও ছাড়পত্র নেই।তিনি আরো বলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসকের অনুমোদন ছাড়া এসব ক্রাশার মেশিন চলার উপায় নেই বলে নিশ্চিত করেন।
ডা: হাবিবুর রহমান,সিভিল সার্জন জানান,কুড়িগ্রাম শীলকোশিষ, শ্বাস তন্ত্রের রোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়ার শংকা রয়েছে।
এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আরো পড়তে ক্লিক করুন >> কেশবপুরে সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখাদিয়েছে