বিশেষ প্রতিনিধি :
সাভারের আশুলিয়ায় আয়নাল মার্কেট এলাকায়, বাসা ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কাজ করার সময় দুই যৌন কর্মীকে হাতে নাতে ধরেছে এলাকাবাসী।
বুধবার (৪ নবেম্ভর) সন্ধ্যা রাতে ঐ বাসায় সন্দেহজনক লোকজনের আসা-যাওয়া করতে দেখে, পাশের ভাড়াটিয়াদের সন্দেহ হয়, তখন তারা এলাকার গন্যমান্য মাদবর ও সচেতন মহলকে বিষয়টি জানালে তার ওই বাসায় এসে তাদের হাতে নাতে ধরে।
এলাকাবাসী জানায় তারা খারাপ মহিলা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া করে তারা এই ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড করে থাকেন। যা অত্র এলাকার অনেকেই আগে থেকে জানতেন বলে জানায়।
এছাড়াও একই এলাকার মৌসুমী মার্কেটের একটি বাসা থেকে এর আগে তাদেরকে বের করে দেয়া হয় বলে জানা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এরা অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি চক্র। তারা অত্র এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া করে একটি বিশেষ মহলকে ম্যানেজ করে এ ধরনের অনৈতিক কাজ করে থাকে। এছাড়াও অত্র এলাকাবাসী জানায় তাদের এই অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে ফাসিঁয়ে দেওয়ারও হুমকি প্রদান করে, তাই অনেকেই জানা সত্ত্বেও এই অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করেন না।
ওই নারীদের পাশের বাসার ভাড়াটিয়া, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আশরাফুল আলম বলেন আমাদের সন্দেহ হলে এলাকাবাসীকে খবর দেই, এলাকাবাসী উপস্থিত হলে উক্ত নারীদের ঘরে অবৈধ কাজ করতে আসা পুরুষ গুলো দৌড়ে পালিয়ে যায়, পরে আমরা এলাকাবাসী দৌড়ে একজনকে ধরে ফেলি। অনৈতিক কাজ করা কালে যেই মেয়ে দুটি ধরা পরে তারা নিজেদের বাচাঁনোর জন্য সেলিনা আক্তার নামের এক মহিলাকে ফোন করে ডাকলে সে এসে এলাকাবাসীর প্রতি চড়াও হয় এবং আমি এলাকাবাসীকে ডেকে আনয়, আমাকে ওই দুই মেয়েসহ সেলিনা আক্তার মারতে তেড়ে আসে ও ধাক্কাধাক্কি করে। এতে আমি সাধারন আহত হই। এ সময় তার লোকজনকে খবর দিয়ে আমাকে দেখে নেয়ার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে সহ এলাকাবাসীকে হয়রানী করবে বলে হুমকি দেয়।
বাড়ির মালিক অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট: সাদেক, বলেন আমার স্ত্রীর কাছে সেলিনা আক্তার নামের মহিলাটি, তার বোন প্রথমে এবং চলতি মাসের ১ তারিখে সে আসবে এই কথা বলে ফ্লাট বাসাটি ভাড়া নেয়, কিন্তু তার বোন সহ অন্য আরো একটি মেয়ে বাসায় আসলেও সে ১ তারিখে আসেনি। এছাড়াও ভাড়া নেয়ার সময় তাদের স্বামী আছে বলে জানালেও এখন জানতে পারছি তাদের স্বামী সাথে থাকেনা, দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া দুই ব্যক্তির একজনকে স্বামী পরচয় দিলেও এখন জানতে পারছি ওই পুরুষ তার স্বামী নয়।
এ বিষয়ে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আয়নাল মাদবর বলেন, আমাদের এলাকায় এধরনের অনৈতিক কাজের খবর পেয়ে আমরা এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে যাই এবং সত্যতা পাই। আমাদের এলাকার কোন ছেলে যাতে এ ধরণের অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়তে না পারে সেই দিকে লক্ষ রেখে এলাকাবাসীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের রাতেই বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয় ।
যুবলীগ নেতা নাজমুল আলম মিরন, ও শাকিল মুন্সি (উকিল) বলেন এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কথা শুনে ঘটনাস্থলে যাই। এরপর ঘটনার সবকিছু দেখে শুনে সত্যতা পেলে, আমাদের উপস্থিতিতে অত্র এলাকা মুরুব্বী আওয়ামী লীগ নেতা, ৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি আয়নাল মাদবর, বাড়িওয়ালা সহ অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত নারীদেরকে চলে যেতে বলেন। এরপর তারা তাদের ভুল স্বীকার করে ও ক্ষমা চেয়ে বাসা ছেড়ে চলে যায়।