বরিশাল থেকে:
দেশের বিভিন্ন জেলায় টানা বৃষ্টি ও নদনদীর পানি বৃদ্ধির কারনে প্রভাব পড়েছে কাচা বাজারগুলোতে।তার ব্যাতিক্রম নয় বরিশালেও। নগরীতে যে সব জেলা থেকে সবজি আসে সে সব জেলা পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে নৈত্যপ্রায়জনীয় পন্য আসছে না চাহিদামতো। এতে নগরী এবং উপজেলার বাজারগুলোতে দাম বেড়েছে বেশির ভাগ সবজির।বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। গতকাল নগরীর বটতলা,চৌমাথা,নতুন বাজার, নথু্ল্লাবাদ, বাংলাবাজার সাগরদী,রুপাতলী বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাচা মরিচ ও ঢেঁরশ । বাজার ভেদে কাচামরি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। অর্থাৎ দু তিন দিনের ব্যবধানে কাচামরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০-১৫০টাকা। ঢেরশ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। শসার দামও বাড়তি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।কাঁচামরিচ, ঢেরশ ও শসা মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশির ভাগ সবজি। গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া করলার দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। ঝিঙ্গা,পটল ও ধুন্দুলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাকরোল গত সপ্তাহের মতো ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। দাম বাড়ার এ তালিকায় রয়েছে করল্লাও। গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া করল্লা দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। অপরিবর্তিত থাকা সবজির মধ্যে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। বরবটির কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আমরা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কুড়ি বিক্রি হচ্ছে। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস।এদিকে মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি আগের সপ্তাহের মতো ১১০থেকে ১১৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাল কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। একই দামে বিক্রি হচ্ছে লাল লেয়ার মুরগি। গরুর মাংস বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি।