নেত্রকোণার দূর্গাপুরে বাংলা ড্রেজার মেশিন দিয়ে সুমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় অতর্কিত হামলা চালায় ড্রেজার শ্রমিকরা। এতে করে পুলিশ এবং ভূমি অফিসের কর্মচারীসহ ৬ জন আহত হয়েছে।
আজ বুধবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে দূর্গাপুর সদরে সোমেশ্বরী নদীর ১নং বালুঘাটে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, সোমেশ্বরী নদীর ১ নং বালুঘাট ইজারা নিয়ে ইজারাদার দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের লোকজনকে দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বাংলা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে।
এতে করে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি সোমেশ্বরী নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী নদী ভাঙ্গন রোধ করতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বার বার আবেদন করে আসছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আজ বুধবার দুপুরের দিকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নারায়ন চন্দ্র বর্মণ-এর নেতৃত্বে একটি টিম ১নং বালুঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গেলে ড্রেজার শ্রমিকরা তাদের উপর ইট-পাটকেল ছুঁড়ে হামলা চালায়।
ভ্রাম্যমান আদালতের উপর হামলার খবর পেয়ে দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম, সহকারী পুলিশ সুপার (দূর্গাপুর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলী, ওসি শাহ্ নুর এ আলম অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শ্রমিকদের হামলায় দুর্গাপুর থানার এস আই রুকন উদ্দিন (৪০), কনস্টেবল খলিলুর রহমান (৫৫), কনস্টেবল রুবেল মিয়া (৩০), ভুমি অফিস কর্মচারী নজরুল ইসলাম (৪৫), এরশাদুল ইসলাম (৩২) ও ঘাট শ্রমিক রফিক (৩৫) গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম, সহকারী পুলিশ সুপার (দুর্গাপুর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলী, ওসি শাহনুর এ আলমের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নারায়ন চন্দ্র বর্মণ প্রায় ৫০টি অবৈধ বাংলা ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করেন। সেই সাথে পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বালুঘাটের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
আরো পড়তে ক্লিক করুন >> নৌ-পথে চাঁদা বাজির সময় ইউএনও'র হাতে আটক হয় একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা